চিকিৎসার জন্য হাসপাতালকে দেওয়া হয় ৩৩০০ টাকা। বলা হয়েছিল, ৭ মে বিড়ালটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। অভিযোগ, যেদিন ছাড়ার কথা ছিল, সেদিন হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, বিড়াল এখনও সুস্থ হয়নি। পোষ্যের সঙ্গে দেখাও করতে দেখা দেওয়া হয়নি দেবপ্রিয়াকে।


আদরের বিড়াল ভর্তি হাসপাতালে, প্রথম দিন বলল 'দেখা করা যাবে না', দ্বিতীয় দিন যেতেই যা বলল... হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ পরিবারের
দেবপ্রিয়া

কেবল পোষ্য নয় ও, পরিবারের এক সদস্যও। সেভাবেই নিজের পোষ্যদের মধ্যে সবথেকে প্রিয় বিড়ালের সঙ্গে ‘ট্রিট’ করে সন্তোষপুরের দেবপ্রিয়া ঘোষ। দেবপ্রিয়ার বাড়িতে ছয়টি বিড়াল রয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে প্রিয় এই বিড়ালটি। দেবপ্রিয়া ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটির ইংরেজি অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ছোটবেলা থেকে প্রাণীদের প্রতি অগাধ ভালোবাসা নিয়ে বড় হয়েছেন তিনি। পরিবারের প্রতিটি সদস্যই পশুপ্রেমী।

গত ২৯ এপ্রিল নিউটার করার জন্য ভর্তি করা হয় নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ এলাকার আটঘরার একটি পশু চিকিৎসালয়ে। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালকে দেওয়া হয় ৩৩০০ টাকা। বলা হয়েছিল, ৭ মে বিড়ালটি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। অভিযোগ, যেদিন ছাড়ার কথা ছিল, সেদিন হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারেন, বিড়াল এখনও সুস্থ হয়নি। পোষ্যের সঙ্গে দেখাও করতে দেখা দেওয়া হয়নি দেবপ্রিয়াকে।

বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। জানানো হয়, বিড়ালকে এখনও ছাড়া হচ্ছে না। পরে আবার যোগাযোগ করলে জানা যায়—বিড়ালটি নিখোঁজ! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথমে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করে। প্রতিবেশীদের থেকে জানা যায়, বিড়ালটি নাকি ভর্তি হওয়ার পরদিনই পালিয়ে গিয়েছে। অথচ পরিবারকে একবারও জানানো হয়নি! শুধু ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে বারবার।

এই ঘটনায় দেবপ্রিয়া ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন নরেন্দ্রপুর থানায়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। আটঘরা এলাকায় বিলি করা হয়েছে হাতে লেখা পোস্টার। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চলছে। দেবপ্রিয়ার আবেদন, যদি কেউ বিড়ালটির সন্ধান দিতে পারেন, তাঁকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে নগদ ২০০০ টাকা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours