ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে যে হিংসা, অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যোগ থাকতে পারে বলেই দাবি করা হয় সরকারি সূত্রে।
মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে বাংলাদেশের মাথাব্যথা, 'নিজের চরকায় তেল' দিতে বলল ভারত
মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক।
নিজের দেশ নিয়ে হুঁশ নেই, পড়শি দেশ নিয়ে বেশি চিন্তা বাংলাদেশের। মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে নিন্দা বাংলাদেশের। এর পাল্টা জবাব দিল বিদেশ মন্ত্রক। ঢাকার এই মন্তব্য অযৌক্তিক বলেই উল্লেখ করা হয়।
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে যে হিংসা, অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তাতে বাংলাদেশের যোগ থাকতে পারে বলেই দাবি করা হয় সরকারি সূত্রে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ কথা উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশ এই প্রসঙ্গেই বক্তব্য রাখে। বাংলাদেশের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গ ও ভারত সরকারের কাছে অনুরোধ করছি সংখ্যালঘু মুসলিমদের সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার জন্য যেন প্রয়োজনীয় যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়।”
এ দিন বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বাংলাদেশের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “বাংলাদেশের এই মন্তব্য হল ভারতের সঙ্গে সে দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতন ও হত্যার, যেখানে অপরাধীরা মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার তুলনা টানার প্রচ্ছন্ন ও ছলনামূলক প্রচেষ্টা।”
বাংলাদেশকে নিজেদের দেশের সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করার কথাই বলেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতিই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সংসদে জানিয়েছিলেন, ২০২৪ সালের অগস্ট মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলদেশে সংখ্যালঘুদের উপরে ২৪০০-রও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। শুধুমাত্র ২০২৫ সালেই ৭২টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours