দ্য বেঙ্গল-এর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে সম্মানিত করার জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকদের সম্মান প্রদান করেন চেয়ারম্যান এইচ এম বাঙ্গুর, প্রেসিডেন্ট যোগেন চৌধুরী এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
ভগবান তো স্বয়ং এসে আশীর্বাদ করতে পারেন না: আবেগঘন মমতা শঙ্কর
২০২৫-এ পদ্মশ্রী পেয়েছেন বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মমতা শংকর, সরোদ শিল্পী তেজেন্দ্র নারায়ন মজুমদার, বাদ্যশিল্পী গোকুল চন্দ্র দাস এবং বিল্ডিং মেটিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রির আইকন সজ্জন ভাজাঙ্কা। ৯ মার্চ সন্ধেয় তাজ বেঙ্গলে, দ্য বেঙ্গল-এর পক্ষ থেকে তাঁদেরকে সম্মানিত করার জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছিল। সংস্থার পক্ষ থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপকদের সম্মান প্রদান করেন চেয়ারম্যান এইচ এম বাঙ্গুর, প্রেসিডেন্ট যোগেন চৌধুরী এবং শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।
মমতা শঙ্কর এর কথায়, “আমি শুনি সবাই পদ্মশ্রী পান। কিন্তু আমি নিজে কোনওদিন ভাবিনি আশাও করিনি এই সম্মান আমি পাব। কোনও পুরস্কার পাবো এই কথা ভেবে আমি কখনও কাজ করিনি। আমি শুধু নিজের কাজ করে গিয়েছি। সঙ্গীত নাটক একাডেমী পুরস্কার পেয়েছি, পদ্মশ্রী পেলাম। আমার মনে হয় ভগবান তো স্বয়ং এসে আশীর্বাদ করতে পারেন না। এগুলোই ভগবানের আশীর্বাদ”।
শিল্পী গোকুল চন্দ্র দাসের কথায়, ‘দ্য বেঙ্গল এর আমন্ত্রণে আজকের এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে নিজেকে খুব ধন্য মনে করছি। তাদেরকে ধন্যবাদ, শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা জানাই। বাংলার ট্রাডিশনাল ফোক ইন্সট্রুমেন্ট, বাংলার অতি প্রাচীনতম বাদ্যযন্ত্র ঢাক। আমি মহিলাদেরকে প্রাধান্য দেওয়ার জন্য তাঁদেরকে এই বাদ্যযন্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। যাঁদের অধিকাংশই দুস্থ পরিবারের। তাঁদেরকে আমি স্বাবলম্বী করতে পেরেছি, এটাই আমার কাছে প্রাপ্তি।’
তেজেন্দ্র নারায়ন মজুমদারের কথায়, ‘বাংলার ক্লাসিক্যাল ফেটারনিটির হয়ে পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়ে আমি খুব গর্ব অনুভব করছি। কিন্তু আমি যে পুরস্কার পাবো কখনও ভাবিনি। এই প্রাপ্তির পেছনে রয়েছে আমার বাবা-মা আমার গুরুদের আশীর্বাদ। তবে একটা পুরস্কার পেলে তার পেছনে একটা ভয়ও থেকে যায়। কোনও পুরস্কার পেলে ভাললাগা যেমন থাকে তেমনি দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। সঙ্গীতের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি যে কাজ করে চলেছি সেটা যেন আরও ভাল করে করতে পারি, এটাই চাই।’
Post A Comment:
0 comments so far,add yours