২০২৪ সালেও বিশ্বব্যাপী অনুদানেই প্রায় ১১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিলিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই সেই খরচে টেনেছেন রাশ। একাধিক দেশের অনুদান বন্ধের ঘোষণা করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন।


ভারতের নির্বাচনে টাকা ঢালছে আমেরিকা! 'বড় দুর্নীতির..' ইঙ্গিত দিলেন মোদীর উপদেষ্টা


হোয়াইট হাউস এখন ট্রাম্পের দখলে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংখ্য়াগরিষ্ঠতার সঙ্গে নিজের ‘ফেলে যাওয়া’ রাজত্ব দ্বিতীয়বার উদ্ধার করে নিয়েছেন তিনি। তাই এসেই বাইডেনের করে যাওয়া নানাবিধ রীতিনীতিও ‘ছুড়ে ফেলে’ দিয়েছেন তিনি। বদলে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের করে যাওয়া ‘বোকা বোকা নিয়ম’। রাশ টেনেছেন বাড়তি খরচেও।

২০২৪ সালেও বিশ্বব্যাপী অনুদানেই প্রায় ১১৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিলিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ট্রাম্প ক্ষমতায় আসতেই সেই খরচে টেনেছেন রাশ। একাধিক দেশের অনুদান বন্ধের ঘোষণা করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। গতকালও একটি তালিকা প্রকাশ করে একাধিক দেশের আর্থিক অনুদান বন্ধের ঘোষণা করে ‘ডিপার্টমেন্ট অব গর্ভমেন্ট এফিসিয়েন্সি’। সেই তালিকায় নাম ছিল ভারতের।

বলে রাখা ভাল, এই দফতরের সর্বেসর্বা কিন্তু আমেরিকার শিল্পপতি ইলন মাস্ক। মার্কিন সফর সেরে মোদী দেশে ফিরতেই এই তালিকা প্রকাশ করে তাঁর দফতর। যেখানে দেখা যায়, ভারতের নির্বাচনী ব্যবস্থা উন্নয়নে ও ভোটারদের বুথমুখী করতে ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১৮২ কোটি টাকা ব্যয় করত আমেরিকা। যা আপাতত ক্ষমতায় এসে বন্ধ করল ট্রাম্প প্রশাসন।



মাস্কের দফতরের এহেন অনুদান বন্ধের দাবির পরই চটে বিজেপি। দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য এই ঘটনাকে ‘ভারতের নির্বাচনে বাহ্যিক ভাবে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা’ বলে আখ্যান দেন তিনি।



এবার মাস্কের দফতরের তালিকা প্রকাশের ২৪ ঘণ্টা পর মুখ খুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালও। এদিন তিনি বলেন, ‘মার্কিন অনুদান হল মানব ইতিহাসে ঘটা সবচেয়ে বড় দুর্নীতি।’ পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আমি জানতে আগ্রহী যে ভারতের নির্বাচনে খরচ করা কোটি কোটি মার্কিন ডলার কাদের কাছে গিয়েছে?’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours