কিন্তু কখনও এমনটাও হতে পারে যে সিবিল স্কোর খারাপ তাই পাত্র বাতিল? পাকাদেখার দিনই ভেঙে গেল স্বপ্ন। অধরাই রয়ে গেল বিয়ের পর্ব।


 পাত্রের সিবিল স্কোর কম! পাকাদেখাতেই বিয়ে ভাঙল পাত্রীর পরিবার
প্রতীকী ছবি


একটা বিয়ে যতটা না দু’টো মানুষের মেলবন্ধন। তার থেকে কয়েক গুণ বেশি দু’টো সামাজিক পরিচিতি। পাত্রের ক্ষেত্রে সাধারণ ভাবে যে জিনিসগুলি যাচাই করা হয়, সেগুলি হল পাত্রের আয় কত, পাত্রটা ভাল কিনা, ভাল কাজকর্ম করে কিনা। এছাড়াও আরও একাধিক বিষয়।


পাত্রীর ক্ষেত্রে সে রান্না পারে কিনা, ঘর সামলাতে পারে কিনা কিংবা ওজন জানতেও অনেক সময় কুণ্ঠাবোধ করেন না পাত্রের পরিবার। দেখাশোনা করে বিয়ের পর্বটা খানিকটা এরকমই। কিন্তু কখনও এমনটাও হতে পারে যে সিবিল স্কোর খারাপ তাই পাত্র বাতিল? পাকাদেখার দিনই ভেঙে গেল স্বপ্ন। অধরাই রয়ে গেল বিয়ের পর্ব।

ঘটনা মহারাষ্ট্রের মুর্তিজাপুরের। সেখানের এক স্থানীয় তরুণীর সঙ্গেই ছিল যুবকের দেখাশোনা পর্ব। পাত্র বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকুরিরত। মাইনেপত্র ভাল, পরিবারের লোকজনকেও নাকি বেশ পছন্দ হয়েছিল পাত্রীর পরিবারের। কিন্তু ‘কাঁটা’ হল সিবিল স্কোর।


দুই পরিবারের কথাবার্তা এগোয় অনেকটাই। বিয়ে পাকা হওয়ার শেষ বৈঠকেই ঘটে অঘটন। এ কথা, সে কথার মাঝেই হঠাৎ পাত্রের সিবিল স্কোর জানতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন পাত্রীর এক কাকা। মানসিক বাধা সরিয়ে হবু কাকা শ্বশুড়ের কথা শুনে সিবিল স্কোর দেখিয়েও দেন পাত্র। আর তারপরেই বদলে যায় ব্যবহার। পাত্রের সিভিল স্কোর দেখে রাগ তুঙ্গে চড়ে পাত্রীর কাকার। পাত্রের বাড়ির লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই বিয়ে নাকি সম্ভব নয়।

কিন্তু কেন? কারণ পাত্রের সিবিল স্কোর নাকি একদম নীচে। অর্থাৎ, বাজারে তার একাধিক ঋণ রয়েছে। বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক থেকেই নাকি অনেক টাকা লোন নিয়ে রেখেছেন পাত্র। এখনও সে সব শোধ হয়নি। তাই কাকার কথাতেই সেই পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেন পাত্রীর বাবা।

কী এই সিবিল স্কোর?

ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলে, তার হিসাব জমা পড়ে সিবিলের খাতায়। দেশের সমস্ত ক্রেডিট কার্ড হোল্ডারের সিবিল স্কোর তৈরি করে ট্রান্সইউনিয়ন সিবিল নামে একটি সংস্থা। মোটামুটি ভাবে ৭৫০ এর উপরে সিবিল স্কোর থাকা মানেই তা ভাল। আর তার নীচে হলেই বিপদ। বিয়েতে হতে পারে কাঁটা।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours