একদিকে তাঁর মুখে শোনা গেল এককালের 'আস্থাভাজন' বালুর প্রশংসা। অন্যদিকে, সেই তাঁর মুখেই উঠে এল মদন মিত্রের প্রতি ভর্ৎসনা। এদিন পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বালুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ, মদন-উদয়নকে তিরস্কার! বিধায়কদের শৃঙ্খলার পাঠ মমতার


কলকাতা: দু’জনেই বিধায়ক। একজন হাবড়ার, অন্যজন কামারহাটির। কিন্তু মমতার প্রিয় কে? বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের আগে বিধায়কদের নিয়ে করা পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে সেই বিষয়টিই যেন স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


একদিকে তাঁর মুখে শোনা গেল এককালের ‘আস্থাভাজন’ বালুর প্রশংসা। অন্যদিকে, সেই তাঁর মুখেই উঠে এল মদন মিত্রের প্রতি ভর্ৎসনা। এদিন পরিষদীয় দলের বৈঠক থেকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের তৈরি সংঘাতের আবহে ‘তিনিই যে শেষকথা’, সেই প্রসঙ্গটিই ফের একবার মনে করিয়ে দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেত্রী।

পাশাপাশি, হাবড়ার বিধায়ক জ্য়োতিপ্রিয়র প্রশংসায় হলেন পঞ্চমুখ। বললেন, ‘বালুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেনি ইডি। তাই জামিন পেয়েছে। রাজনৈতিক কারণে আড়াই বছর ধরে ওঁকে জেলে আটকে রাখা হয়েছিল।’


অন্যদিকে, মদন মিত্রকে ভরিয়ে দিলেন তিরস্কারে। একই সুরে আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ মন্ত্রী উদয়ন গুহর দিকে। দুই বিধায়ককে তিনি উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘ক্ষমা অনেকেই চেয়েছে। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই ক্ষমা করা সম্ভব নয়।’ পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গ মন্ত্রীকে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।

তৃণমূল সুপ্রিমোর ভর্ৎসনা থেকে রেহাই পাননি আসানসোলের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ও। তাঁকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, ‘তোমার কাণ্ড-কারখানায় কান পাতা যাচ্ছে না।’ মূলত, দলের রণনীতির পাশাপাশি শৃঙ্খলা পাঠ পড়াতেও বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা। আর সেই পূর্বপরিকল্পনা মতোই হল কাজ।

সম্প্রতি, তৃণমূলের উচ্চপর্যায়ের একাংশ নেতার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মদন মিত্র। ইঙ্গিতে কাঠগড়ায় টেনেছিলেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডকেও। দলের অন্যতম নেতার মুখে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে রাজনীতির পিচে ব্যাকফুটে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে। পরবর্তীতে, অবশ্য এই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে ক্ষমাপ্রার্থীও হন মদন।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours