সাধারণ নাগরিক হয়ে মামলাকারী কীভাবে ই-টেন্ডারের নথি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।


ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেউ পিছন থেকে সেটা চালাচ্ছে...', বিস্ফোরক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

কল্যাণী এইমস-এ আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, বিনা টেন্ডারেই হাসপাতালের একাধিক কাজে বরাত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। শুধু তাই নয়, মামলাকারীর ভূমিকা নিয়েও কার্যত সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

এক সাধারণ নাগরিক হিসেবে ই টেন্ডারের কপি ওই মামলাকারীর কাছে কীভাবে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে হাইকোর্ট। দৃষ্টান্তমূলক আর্থিক জরিমানা ধার্য করে এই মামলা খারিজ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

এদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম মামলাকারীকে প্রশ্ন করেন, “আপনি কি চান যে হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হোক? একজন সাধারণ এলাকাবাসী হয়ে ই-টেন্ডার সংক্রান্ত নথি পেলেন কী করে?” প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “মামলাকারীর ঘাড়ে বন্দুক রেখে কেউ পিছন থেকে সেটা চালাচ্ছে।” আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে, এইমস হাসপাতাল তৈরির দাবি জানিয়ে অনেক মামলাও হয় হাইকোর্টে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই কল্যাণী এইমসে নিজেদের আত্মীয়দের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগ নিয়েও জনস্বার্থ মামলা হয়। গত বছরই তা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours