প্রধানের জাল তথ্য দিয়ে তৈরি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে এবার শোকজ নোটিস দিলেন মহকুমা শাসক, কেন প্রধান পদ বাতিল হবে না এই নিয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।


 বাংলাদেশ থেকে ভোটে লড়ে প্রধান হন, সেই লাভলিকে শোকজ মহকুমাশাসকের
অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান

বাংলাদেশ থেকে এপারে এসে ভুয়ো ওবিসি কার্ড বানানোর অভিযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, সেই কার্ড দেখিয়ে এবাংলায় ভোটে লড়ে জয়ীও হয়েছিলেন। সেই তৃণমূল প্রধান লাভলি খাতুনকে শোকজ নোটিস। শোকজ করলেন মহকুমাশাসক। এখনও কীভাবে প্রধান পদে রয়েছেন তিনি। সেই লাভলি খাতুন, হরিশ্চন্দ্রপুররের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। অবৈধভাবে পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই ভারতে ঢুকে যিনি পাল্টে ফেলেছেন নিজের পরিচয়, এমনকি পিতৃপরিচয়ও। সব জাল তথ্য, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ভোটে লড়ে প্রধান হয়েছেন।


প্রধানের জাল তথ্য দিয়ে তৈরি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ার পর হাইকোর্টের নির্দেশে এবার শোকজ নোটিস দিলেন মহকুমা শাসক, কেন প্রধান পদ বাতিল হবে না এই নিয়ে জবাব দেওয়ার জন্য সাত দিনের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। কার্যত প্রধান পদ বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে । এদিকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। প্রধানের গ্রেফতারি-সহ সিবিআই তদন্তের দাবি বিরোধীদের। অন্যদিকে নোটিশ সামনে আসতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত তৃণমূল। হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মর্জিনা খাতুন বলেন, “দেখা গিয়েছে ওবিসি সার্টিফিকেট নকল। বাতিল হয়েছে। প্রশাসন এবার সিদ্ধান্ত নেবে।”

প্রসঙ্গত, লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। অভিযোগ, পাসপোর্ট ছাড়াই অবৈধভাবে তিনি ভারতে ঢোকেন। তারপর নিজের পূর্ব পরিচয় মিটিয়ে ফেলেন। বাবার নামও বদলান। ২০১৫ সালে ভারতে তাঁর ভোটার কার্ড ইস্যু হয়। ২০১৮ সালে ইস্যু হয় বার্থ সার্টিফিকেট। জানা গিয়েছে, নথিতে নাসিয়ার বাবার নাম ছিল শেখ মুস্তাফা। কিন্তু অভিযোগ, লাভলির বাবার নাম শেখ মুস্তাফা নয়। আসল নাম জামিল বিশ্বাস।


২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লাভলি। জয়ের পর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও হয়ে যান। লাভলির কাছে যিনি পরাজিত হন, সেই রেহানা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours