নমিতা মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, "চার পাঁচদিন ধরে মাটি কাটা হচ্ছে। তৃণমূল পার্টির লোকজন এই মাটি কাটছে। ওরা বলছে স্কুলের কাছে মাঠ হচ্ছে সেখানে ফেলছে। আমরা বারণ করিনি। কারণ আমাদের কথা কি শুনবে ওরা?"


দেবের এলাকায় দিনের আলোতেই চলছে এই কারবার, এলাকাবাসীও 'চুপ'
ঘাটালে কী হচ্ছে?


এলাকার সাংসদ দীপক অধিকারী। তাঁর সংসদীয় এলাকাতেই দিনে-দুপুরে ঘটে চলেছে এমন ‘ভয়ঙ্কর’ ঘটনা। নদীর পাড় কেটে সকালেই অবাধে বালি পাচার করে চলেছে দুষ্কৃতীরা। যদিও, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি শাসকদলের নেতাদের মদতে চলছে এই বালি পাচার। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের সিংহপুর এলাকার ঘটনা। কয়েকদিন ধরে ঝুমি নদীর পাড় থেকে জেসিবি মেশিন দিয়ে বালি কেটে চলছে অবাধে পাচার। যদিও, ট্রাক্টর চালকরা সংবাদমাধ্যমকে দেখাতে পারেনি বালি তোলার কোনও বৈধ কাগজপত্র। তবে এই বালি তোলায় শান্তি ধাড়া নামে এক ব্যক্তির নাম উঠে আসলেও তার দেখা মেলেনি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পাড় থেকে বালি তোলার ফলে বর্ষার সময় বাঁধ ধসে ঝুমি নদীর গ্ৰাসে চলে যেতে পারে বেশ কয়েকটি বাড়ি। এর পিছনে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের মদত রয়েছে বলে দাবি করছেন তাঁরা। নমিতা মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসী বলেন, “চার পাঁচদিন ধরে মাটি কাটা হচ্ছে। তৃণমূল পার্টির লোকজন এই মাটি কাটছে। ওরা বলছে স্কুলের কাছে মাঠ হচ্ছে সেখানে ফেলছে। আমরা বারণ করিনি। কারণ আমাদের কথা কি শুনবে ওরা?”

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ কর। পাল্টা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশীষ হুদাইত বলেন,”বালি ও মাটিজুরির বিষয়ে দলের যদি কেউ জড়িত থাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।” বস্তু
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours