ন হলেও সঞ্জীব খান্না কোনওদিন কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। তবে তাঁর অভিজ্ঞতার পরিধি বিস্তর।

নির্বাচনী বন্ড বাতিল থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ- দেশের নতুন প্রধান বিচারপতির ট্রাক রেকর্ড জানেন?
পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হচ্ছেন সঞ্জীব খান্না।


চন্দ্রচূড় জমানা শেষ। আজ থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নিলেন সঞ্জীব খান্না (Sanjiv Khanna)। আজ, সোমবার সকাল ১০টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে দেশের ৫১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন সঞ্জীব খান্না। শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)।


গত ২৪ অক্টোবরই ডিওয়াই চন্দ্রচুড় (DY Chandrachud)-র উত্তরসূরী হিসেবে সঞ্জীব খান্নার নাম ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধান বিচারপতি হিসাবে রবিবার সুপ্রিম কোর্টে শেষদিন ছিল চন্দ্রচূড়ের। আজ থেকে সঞ্জীব খান্না এই পদে দায়িত্ব গ্রহণ করলেন।

তবে প্রধান বিচারপতি পদে সঞ্জীব খান্নার মেয়াদ খুবই অল্প সময়ের। মাত্র ৬ মাসের জন্য প্রধান বিচারপতির পদে বসছেন তিনি। আগামী ২০২৫ সালের ১৩ মার্চ তিনি অবসর গ্রহণ করবেন।

বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার পরিচয়-
৬৪ বছর বয়সী বিচারপতি সঞ্জীব খান্না দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি দেব রাজ খান্নার ছেলে। সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এইচআর খান্নার ভাইপো তিনি। ১৯৮৩ সালে প্রথম দিল্লি বার অ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবী হিসেবে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন সঞ্জীব খান্না। দিল্লির তিস হাজারির স্থানীয় কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস শুরু করেন। ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হলেন তিনি।

দেশের প্রধান বিচারপতির পদে আসীন হলেও সঞ্জীব খান্না কোনওদিন কোনও হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন না। তবে তাঁর অভিজ্ঞতার পরিধি বিস্তর। ব্যবাসায়িক আইন থেকে পরিবেশ সংক্রান্ত আইন নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। কাজ করেছেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের স্ট্যান্ডিং কাউন্সিল হিসেবেও।

২০০৫ সালে দিল্লি হাইকোর্টে উন্নীত হন। স্থায়ীভাবে বিচারক পদ পান ২০০৬ সালে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে।

সাড়া জাগানো রায়-
সুপ্রিম কোর্টের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রায়, যা দেশজুড়ে সাড় ফেলেছিল, তার অংশ ছিলেন বিচারপতি খান্না। ইভিএমের বৈধতা থেকে শুরু করে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির মামলায় রায় দিয়েছেন তিনি। বিচারপতি খান্নার বেঞ্চই ইলেকটোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকেও জামিন দিয়েছিল তাঁর বেঞ্চ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours