প্রশাসনিক মহলে অবশ্য কান পাতলে এই মুহূর্তে শোনা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকা ১৫০০ টাকায় পৌঁছবে, আর ১২০০ টাকা বেড়ে হবে ১৭০০ টাকা।
উঠল লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ানোর দাবি... অনুদান বৃদ্ধি নিয়ে মমতার কাছে চিঠি
লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান বাড়ানোর দাবি
লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনুদান বাড়াতে হবে। দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ। শুধু দাবিই নয়, এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠিও লিখলেন বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা দ্বিগুণ, অর্থাৎ ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সেই চিঠির সারবত্তা তিনি নিজের সামাজিক মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন। হ্যাস ট্যাগ ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ও দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি, পশ্চিমবাংলার মহিলাদের ১০০০ টাকা ও ১২০০ টাকা করে দিয়ে যে ভোটব্যাঙ্ক আপনি তৈরি করছেন, তাতে কিন্তু কিছু হয় না। ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করে দিতে হয়। তাতে অন্তত তাঁদের হাতখরচটা হবে।”
প্রশাসনিক মহলে অবশ্য কান পাতলে এই মুহূর্তে শোনা যাচ্ছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ১০০০ টাকা ১৫০০ টাকায় পৌঁছবে, আর ১২০০ টাকা বেড়ে হবে ১৭০০ টাকা। প্রথম থেকে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী দাবি করে আসছেন, তাঁদের ভাঁড়ারে টান রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই বিজেপি সাংসদ সেই টাকা বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার কথা বলছেন। কারণ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপি ভাবছে, ভাঁড়ারে টান পড়লে, তাতে আরও বেশি কোণঠাসা হবে মমতা সরকার। উল্লেখ্য, অন্যান্য রাজ্যে আড়াই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করেছেন বিজেপি সাংসদ। ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের দেওয়া হয় দেড় হাজার টাকা। সেটাও বলেছেন। আর উদাহরণ টেনেই বাংলার অনুদানও বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটাও বলছেন, মমতা সরকারকে চাপে রাখতে গিয়ে, কোথাও মমতার প্রকল্পেরই স্বীকৃতি দিল বিজেপি। বিজেপি সাংসদ কোথাও স্বীকার করে নিলেন, বাংলার মহিলাদের কাছে এই প্রকল্পের জনপ্রিয়তা কতটা! যদিও এই প্রকল্পের ধাঁচেই অন্নপূর্ণা প্রকল্প এনেছে বিজেপি। তার প্রচারও করছে বিজেপি নেতৃত্ব। কীভাবে সেই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে, ফর্ম ফিলাম করতে হবে, তারও পাঠ দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে অন্নপূর্ণা প্রকল্পে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে বিজেপি। তাই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কটাক্ষ করতে গিয়ে, কোথাও ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ স্বীকৃতিই দিল বিজেপি।
এই নিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “ওর আগে বলুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করার আগে ওরা কেন কিছু চালু করেনি? নকল করছে ওরা। তার আবার বড় বড় কথা। জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর উচিত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া, বাংলার বকেয়া টাকাটা আগে দিক।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours