তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য তারকনাথ দাসের অভিযোগ,হরিপাল কলেজের মর্নিং ও ডে সেকশন চলে। মর্নিং-এর ক্লাস শুরু হয় সকাল আটটা থেকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসেন দশটার পর। ডে'র ক্লাস শুরু হয় ১১ টা থেকে বারোটার পর শিক্ষকরা কলেজে আসেন।


সময়ে আসেন না শিক্ষকরা, ঘেরাও করল 


কলেজে সময়ে আসেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জানিয়েও হয়নি লাভ। তাই কলেজের গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। যার জেরে আটকে পড়লেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ঘটনাটি ঘটেছে হরিপাল বিবেকানন্দ কলেজে।

তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য তারকনাথ দাসের অভিযোগ,হরিপাল কলেজের মর্নিং ও ডে সেকশন চলে। মর্নিং-এর ক্লাস শুরু হয় সকাল আটটা থেকে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসেন দশটার পর। ডে’র ক্লাস শুরু হয় ১১ টা থেকে বারোটার পর শিক্ষকরা কলেজে আসেন। কলেজের পঠন-পাঠন ঠিকঠাক হচ্ছে না। টিআইসিকে বারবার বলা হলেও লিখিতভাবে আবেদন করা হলেও তিনি কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।

তারকনাথ দাস বলেন, “আজ আমরা স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলাম।সেখানে দেখা গেল গুটি কয়েক লোকজন নিয়ে প্রিন্সিপাল মিটিং করলেন। বলতে যাওয়ায় এক ছাত্রকে মারধরও করা হয়।ইংরেজি বিভাগের এইচওডি গোটা বিষয়ে মদত দেন। সময় কলেজ আসতে হবে পঠন পাঠন ঠিক মত করতে হবে।”

এ দিকে, এই ঘটনার পর সন্ধ্যা সাতটা বেজে গেলেও কলেজ থেকে বেরোতে পারেননি শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিক্ষোভের জেরে কলেজের ভিতরেই আটকে পড়েন তাঁরা। কলেজের টিচার ইনচার্জ অজয় ভট্টাচার্য জানান,”শিক্ষকরা সময় আসে না এটা ঠিক নয়।দূর থেকে অনেকে আসেন ট্রেনে করে সেই কারণে লেট হতে পারে। ছাত্রদের সঙ্গে কথা হয়েছে আগামী সোমবার এ নিয়ে আলোচনা হবে।ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ ঠিক না।”

এই ঘটনার প্রায় ঘণ্টা তিনেক কলেজে আটকে থাকার পর টিচার ইনচার্জ আলোচনার আশ্বাস দিলে কলেজের গেটের তালা খুলে দেয় বিক্ষোভকারীরা
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours