নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারি নিয়ে আখতার আলি দাবি করেছিলেন, এনআরএস-আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য উৎপাদনে একই ক্ষমতা।
সিবিআইয়ের চিঠি গেল স্বাস্থ্যভবনে, 'বিএমডব্লু' নিয়ে এবার নথি তলব
স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি সিবিআইয়ের।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারি নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে চিঠি সিবিআইয়ের। শিয়ালদহে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরে হানা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের। চিঠিতে ২০২০-২১ সাল থেকে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের নথি তলব করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। রাজ্যের সবকটি সরকারি হাসপাতালের বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট (Biomedical Waste) বা বিএমডব্লু সংক্রান্ত নথি চেয়েছে সিবিআই।
কোন হাসপাতালে কোন সংস্থা বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগ সরবরাহের বরাত পেয়েছিল, তা জানতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বরাতের চুক্তিপত্রের সবিস্তার তথ্য তলব করেছে সিবিআই। বিএমডব্লু সংগ্রহে সংস্থাগুলির সঙ্গে কী চুক্তি ছিল? কোনও সংস্থার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছিল কী? চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হলে কারণ কী? উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।
বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে প্লাস্টিক ব্যাগের ওজন হওয়া প্রয়োজন ৭৫ মাইক্রন, ১২০ মাইক্রন। কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রকের নির্দেশিকা কি মানা হয়েছে এই রাজ্যে? তা জানতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে সিবিআই জানতে চায়-
কেন্দ্রের নির্দেশিকা কবে কার্যকর হয়েছে এই রাজ্যে?
২০২১ সালের নির্দেশিকা কার্যকরে দেরি হলে কেন হয়েছে?
নিয়ম মানার প্রশ্নে ছিল স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারি ছিল?
এই সমস্ত প্রশ্নের নথিযোগে তথ্য তলব করেছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, নন মেডিক্যাল ডেপুটি সুপার আখতার আলির অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে সিবিআই। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য সংগ্রহে কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারি নিয়ে আখতার আলি দাবি করেছিলেন, এনআরএস-আরজি করে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য উৎপাদনে একই ক্ষমতা। তবুও সেপ্টেম্বর ২০২২-ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালের মধ্যে এনআরএসে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর পরিমাণ ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬৫০ কেজি।
সেখানে আরজি করে একই সময়ে বায়োমেডিক্যাল বর্জ্যর মাত্রা সেখানে ৪৯ হাজার ৬০২.৪৪ কেজি। প্রশ্নের প্রেক্ষিতে তদন্তে বর্জ্য পাচারের বিষয়টি ধরা পড়লেও তদন্তকারীরাই অধ্যক্ষের রোষে পড়েন বলে অভিযোগ। এই প্রশ্নেই বর্জ্য সংগ্রহের জন্য ২০২২-২০২৪ সালে রাজ্যের সবকটি হাসপাতালে কত পরিমাণ প্লাস্টিক ব্যাগের বরাত দেওয়া হয়েছিল তার তুল্যমূল্য তথ্য পেতে চাইছে সিবিআই।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours