বস্তুত, এই নিয়ে চতুর্থবার হাওড়া সদর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন থেকেই তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, এলাকায় দেখা যায় না প্রসূনকে। এই নিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তিনি।
প্রসূনদা আপনাকে যা চেনার চিনে গিয়েছি...', সকালবেলাই হঠাৎ ভিডিয়ো পোস্ট,কী হল মনোজের?
প্রসূণের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন মনোজ
হাওড়া: লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে প্রচারে গিয়ে আদি তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ভোট মিটতেই এবার শিবপুর কেন্দ্রের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য, ভোটের সময় তাঁরা প্রসূনকে জেতাতে যথেষ্ট সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচন মিটতেই আর নাকি যোগাযোগ রাখেননি হবু সাংসদ। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন মনোজ। ‘চিনে নিয়েছি…’ বলতেও শোনা যায় তাঁকে। এই বিষয়ে একাধিকবার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি এখনও অবধি (দুপুর সাড়ে ১২টা) ফোন তোলেননি।
বস্তুত, এই নিয়ে চতুর্থবার হাওড়া সদর কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে নির্বাচনী প্রচারের প্রথম দিন থেকেই তাঁকে ঘিরে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, এলাকায় দেখা যায় না প্রসূনকে। এই নিয়ে বিক্ষোভের মুখেও পড়েছিলেন তিনি। এমনকী, তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে প্রথম দিন থেকেই দলের একাংশ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ জন্ম নেয়।
তবে মনোজ তিওয়ারী দাবি করেন, এই সব কিছু উপেক্ষা করেই তিনি ও তাঁর কর্মী সমর্থকরা প্রসূনের জয়লাভের জন্য দিনরাত এক করে প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। ফলস্বরূপ, ২০১৯ এর তুলনায় অনেক বেশি ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, শিবপুর কেন্দ্র থেকেও এবারে ভোটের মার্জিন অনেকটাই বেশি রয়েছে।
তৃণমূল বিধায়কের দাবি, তবে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পর থেকে ভাবী সাংসদের পক্ষ থেকে আর যোগাযোগ করা হয়নি তাঁর সঙ্গে। পরিবর্তে প্রসূন তাঁদের বেশি সময় দিচ্ছেন যাঁরা নির্বাচনের আগে তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন। এরপরই একটি ভিডিয়ো বার্তা পোস্ট করেন মনোজ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রসূনদা আপনি ফোন বন্ধ রেখেছেন। ৮ তারিখ হয়ে গেল একটা ফোন এল না। এটা ঠিক করলেন না দাদা।যতটা সম্মান করতাম আর হয়ত করতে পারবো না। আপনাকে যতটা চেনার আমি চিনতে পেরেছি।”
Post A Comment:
0 comments so far,add yours