পিকে বলেন, "আমি নিজের হিসাব আপনাদের সামনে রেখেছিলাম। আমি ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করছি যে নম্বরের হিসাবে ভুল করেছিলাম। ২০ শতাংশ আসন সংখ্যায় ভুল হিসাব করেছি। আমরা বলছিলাম যে বিজেপি ৩০০-র কাছাকাছি আসন পাবে, কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে।"

মেলেনি অঙ্ক, ভোটের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন পিকে!
ভুল মানলেন প্রশান্ত কিশোর।

 বলেছিলেন এনডিএ-র ৪০০ পার হবে না। মিলেছে সেই কথা। কিন্তু ২০১৯ সালের মতোই ফলাফল করবে বিজেপি বা পশ্চিমবঙ্গে এক নম্বর দল হয়ে উঠবে বিজেপি- এই সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণীর কোনওটিই মেলেনি। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই নিজের ভুল মেনে নিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।


লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রথম সাক্ষাৎকার দেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তিনি বলেন, “হ্য়াঁ, আমার এবং আমার মতো বাকি ভোটকুশলীদের অনুমান ভুল হয়েছে। আমরা সেই ভুল স্বীকার করে নিচ্ছি।”

২০১৯ হোক বা ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। অক্ষরে অক্ষরে মিলেছিল প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী। কিন্তু ২০২৪ সালে মেলেনি তাঁর হিসাব। দক্ষিণের রাজ্যে বিজেপির ভাল ফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী মিললেও, বাকি সমস্তটাই ভুল বেরিয়েছে। এরপরও আগামী নির্বাচনগুলি নিয়ে আর সংখ্যার হিসাব বা ভবিষ্যদ্বাণী করবেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে পিকে বললেন, “না, আমি আর নির্বাচনে আসন সংখ্যা নিয়ে কিছু বলব না।” 


পিকে বলেন, “আমি নিজের হিসাব আপনাদের সামনে রেখেছিলাম। আমি ক্যামেরার সামনেই স্বীকার করছি যে নম্বরের হিসাবে ভুল করেছিলাম। ২০ শতাংশ আসন সংখ্যায় ভুল হিসাব করেছি। আমরা বলছিলাম যে বিজেপি ৩০০-র কাছাকাছি আসন পাবে, কিন্তু বিজেপি ২৪০ আসন পেয়েছে। কিন্তু আমি আগেই বলেছিলাম জনগণের মধ্য়ে চাপা ক্ষোভ রয়েছে, তবে তা নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেবে, সেরকম নয়।”

ভোটের হিসাব বুঝিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, “আমি বলেছিলাম যে বিরোধীদের কোনও ইতিবাচক প্রভাব নেই জনগণের মধ্যে। কিন্তু সেটাও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু আপনারা যদি সংখ্যার বিচারের উর্ধ্বে যান, তবে এটা কিন্তু ভুল নয়। শেষ পর্যন্ত বিরোধীরা ৩৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। ভোটকুশলী হিসাবে আমার কখনও সংখ্য়ার হিসাবে যাওয়াই উচিত হয়নি। বিগত দুই বছরে আমি এই ভুল করেছি। এক, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের সময়, দুই, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময়। যদি সংখ্যা সরিয়ে রাখেন, তবে আমি কিন্তু ঠিকই বলেছি।”

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন যে বিজেপির পক্ষে ৪০০ পার সম্ভব হবে না। গতবারের মতোই আসন বা সর্বাধিক ৩৭০ আসন পেতে পারে বিজেপি। দক্ষিণে ভাল ফল করবে বিজেপি। তামিলনাড়ুতে দুই সংখ্যার আসন পেতে পারে। পশ্চিমবঙ্গে এক নম্বর দল হিসাবে উঠে আসবে বিজেপি।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours