রান তাড়া সহজ ছিল না। বাংলাদেশের কাজটা আরও কঠিন করেন আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এ মরসুমেই অভিষেক করা নুয়ান তুষারা। প্রথম ওভারে সৌম্য সরকারকে ফেরান স্পিনার ধনঞ্জয় ডি'সিলভা। পরের ওভারে আর এক ওপেনার তানজিদ হাসানকে ফেরান তুষারা। পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন শান্তর উইকেটও নেন তুষারাই। লিটন দাস এবং তৌহিদ হৃদয় জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
কঠিন পিচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় বাংলাদেশের
জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ। অন্য দিকে, গ্রুপ পর্বে টানা দ্বিতীয় হার শ্রীলঙ্কার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। নিউ ইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামে প্রবল সমস্যায় পড়েছিলেন ব্যাটাররা। অল্প রান তুলতে হিমসিম খেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি হয়েছে ডালাসে। নিউ ইয়র্কের মতো না হলেও কঠিন পিচ। আর এখানেই জয় দিয়ে অভিযান শুরু। ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন বাংলাদেশের বাঁ হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তাঁকে নিয়ে আশঙ্কা ছিল। প্রথম ম্যাচে তাঁকে পেল না বাংলাদেশ।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ভরসা দিলেন। উল্টোদিক থেকে একের পর এক ধাক্কা। সেই অর্থে জুটিই গড়ে তুলতে ব্যর্থ শ্রীলঙ্কা। পাথুম ২৮ বলে ৪৭ রান করেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। স্কোরটা অন্তত ১৪০ হতেই পারত। বাংলাদেশ এর জন্য কৃতিত্ব দিতে পারে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনকে। ইনিংসের ১৫তম ওভারে পরপর দু-বলে চরিত আসালঙ্কা ও ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গাকে ফেরান। এই দু-জন ক্রিজে থাকলে শ্রীলঙ্কার রানটা বাড়তো, কোনও সন্দেহ নেই। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তাঁর ঝুলিতে।
রান তাড়া সহজ ছিল না। বাংলাদেশের কাজটা আরও কঠিন করেন আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে এ মরসুমেই অভিষেক করা নুয়ান তুষারা। প্রথম ওভারে সৌম্য সরকারকে ফেরান স্পিনার ধনঞ্জয় ডি’সিলভা। পরের ওভারে আর এক ওপেনার তানজিদ হাসানকে ফেরান তুষারা। পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন শান্তর উইকেটও নেন তুষারাই। লিটন দাস এবং তৌহিদ হৃদয় জুটি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
লিটন ৩৮ বলে ৩৬ রানের অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলেন। তৌহিদ হৃদয় ২০ বলে ৪০ রানে স্কোর বোর্ডে চাপ পড়তে দেননি। অবশেষে ১৯ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছয় বাংলাদেশ। নুয়ান তুষারা ৪ উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কা ক্যাপ্টেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা নেন ২ উইকেট। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে রেকর্ডও গড়েন লেগস্পিনার হাসারঙ্গা। কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গাকে ছাপিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সর্বাধিক উইকেট শিকারি হলেন তিনি। যদিও দলের হার আটকাতে পারেননি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours