উধমপুরের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকেই গোপন সূত্রে খবর এসেছিল সিআইডির কাছে। এরপরই সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত বেশ কয়েক বছর ধরে গুজরাটে থাকলেও, আদতে সে বিহারের মুজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা।
সাদামাটা চেহারা, পাকিস্তানের 'সোনাল'-র কাছেই 'সব' বেচে দিচ্ছিল নিপাট ভদ্রলোক! অবশেষে সিআইডির জালে
প্রতীকী চিত্র
বাইরে থেকে একদমই সাদামাটা মানুষ। পাড়-পড়শিদের কাছে কোনও খবরই ছিল না যে ওই ব্যক্তি কী করেন। শুধু নজরে এসেছিল যে হঠাৎ করেই বড়লোক হয়ে গিয়েছেন ওই ব্যক্তি। হাতে যে বেশ টাকাপয়সা আসছে, তা চালচলনেই ধরা পড়ছে। বৃহস্পতিবার হঠাৎ সিআইডির বিরাট টিম হাজির হতেই অবাক সবাই। জানতে পারলেন, নিপাট ওই ভদ্রলোক পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাজ করতেন।
সিআইডির তরফে জানানো হয়েছে, গুজরাটে ভারুচ থেকে প্রবীণ মিশ্র নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, ওই ব্যক্তি পাকিস্তানি গুপ্তচরের কাজ করতেন। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী, প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন আর অ্য়ান্ড ডি ফার্মের তথ্য পাকিস্তানে পাঠাতেন ওই ব্যক্তি।
জানা গিয়েছে, উধমপুরের গোয়েন্দা বাহিনীর কাছ থেকেই গোপন সূত্রে খবর এসেছিল সিআইডির কাছে। এরপরই সিআইডি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায়, অভিযুক্ত বেশ কয়েক বছর ধরে গুজরাটে থাকলেও, আদতে সে বিহারের মুজাফ্ফরপুরের বাসিন্দা।
সিআইডি জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপেই যাবতীয় গোপন কাজ চালাতেন অভিযুক্ত। হোয়াটসঅ্যাপ কল ও অডিয়ো চ্যাটের মাধ্যমে দেশের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নানা গোপন তথ্য় পাকিস্তানের কাছে বিক্রি করে দিতেন। পাকিস্তানে একটি গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে সেই তথ্য পাঠাতেন।
ওই পাকিস্তানি অপারেটিভ ভারতের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর ব্যবহার করতেন। সোনাল গর্গ নামে তাঁর একটি ফেক অ্যাকাউন্টও ছিল।
ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর তরফে সিআইডিকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে সেনাবাহিনী, ডিআরডিও, হ্যালের মতো প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাই এই গোপনীয় তথ্যগুলি অভিযুক্তের কাছে বিক্রি করতেন। ধৃতের হোয়াটসঅ্যাপ ঘেঁটে যাদের যোগ পাওয়া গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours