ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কর্মীদের একাংশ চেঁচিয়ে বলছে, 'বিজেপি তৃণমূলের দালালি মানছি না, মানব না।' এরপরই দেখা যাচ্ছে, লকেট দলীয় নেতৃত্বকে থামাতে ছুটে এসেছেন।

 'মানছি না, মানব না'... স্লোগান উঠছে পার্টি অফিসে, দু'হাত তুলে থামাচ্ছেন লকেট, প্রকাশ্যে সেই ছবি
ভাইরাল ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি


হুগলি: বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে উঠছে স্লোগান। শোনা যাচ্ছে মানছি না, মানব না। হাত তুলে চীৎকার করছেন একদল কর্মী। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসে যাওয়াটা লোকসভা নির্বাচনের মাঝে যে বেশ অস্বস্তির, সেটা স্পষ্ট। এখানেই শেষ নয়, সেই হট্টগোল থামাতে ছুটে গেলেন খোদ বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, রীতিমতো দু হাত তুলে কর্মীদের থামাচ্ছেন তিনি। বলছেন,”ক্ষতি করার হলে কর, কিন্তু এখন কাউকে কোথাও সরানো হবে না। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই কটাক্ষ করতে শুরু করেছে তৃণমূল। শাসক দলের দাবি, তৃণমূলকে আক্রমণ করার আগে নিজেদের দলকে সামলাতে হবে বিজেপিকে। তবে বিজেপি নেতারা বলছেন, ‘কী হয়েছে, সেটা না জেনেই কথা বলছে তৃণমূল।’


সূত্রের খবর, সম্প্রতি হুগলি সাংগঠনিক জেলার অফিসে একটি মিটিং ছিল। বুথ স্তরের সভাপতিদের নিয়ে মিটিং হওয়ার কথা ছিল। সপ্তগ্রাম বিধানসভার বুথ সভাপতিদের একাংশ বিক্ষোভ দেখায় সেখানে। নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে বাদ দেওয়ায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তারা। তুমুল হট্টোগোল শুরু হয়ে যায়। সামাল দিতে নামতে হয় লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।

ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, কর্মীদের একাংশ চেঁচিয়ে বলছে, ‘বিজেপি তৃণমূলের দালালি মানছি না, মানব না।’ এরপরই দেখা যাচ্ছে, লকেট দলীয় নেতৃত্বকে বলছেন, ভোটের আগে কাউকে কোথাও সরানো হবে না। ক্ষতি করার থাকলে করুন। কিন্তু এইরকম হট্টগোল করবেন না। ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যেতে পারে। মিডিয়ার কাছেও চলে যেতে পারে। সবার কথা শোনা হবে বলেও আশ্বস্ত করতে শোনা যাচ্ছে লকেটকে। কীভাবে এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল, তা স্পষ্ট নয়।


বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার এবিষয়ে বলেন, “আমাদের মধ্যে কী হয়েছে, সেটা তৃণমূল জানে না। ওরা নিজের মতো করে বলছে। কোনও ক্ষতির আশঙ্কা নেই। আমরা নিঃস্বার্থভাবে বিজেপি করি। দলের কর্মীরা দলের ক্ষতি হোক তা চাইবেন না।” তিনি আরও বলেন, “লকেট চট্টোপাধ্যায়ের পক্ষেই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক আলোচনা ছিল, তা কী করে বাইরে বেরল আমরা জানি না। তবে আমাদের কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।”

তৃণমূলের বিধায়ক অসীমা পাত্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘বিজেপি তৃণমূলকে চোর বলে। আর বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতি, যাঁকে নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় ঘোরেন, তাঁর বিরুদ্ধেই সরব দলের নেতৃত্ব।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours