এলাকার লোকজন বলছেন, শিবু-উত্তমের পাপ ধুতে টাকা ছড়াচ্ছে তৃণমূল। বিরোধীরা বলছে,'তোলা'র টাকা ফেরাচ্ছে তৃণমূল। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকই রবিবার সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, কেউ বঞ্চিত হবেন না। কেউ ঠকালে, দরকারে দলের ছেলেরা চাঁদা তুলে টাকা ফেরাবে।
তোলা'র টাকা মেটাচ্ছে তৃণমূল, টাকা দিতে নেমে খেতে হচ্ছে খোঁচা
প্রধান বামাপদ রাউত ও উপপ্রধান গণেশ হালদার।
সন্দেশখালি: উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা জেলে ঢুকতেই বেরিয়ে আসছে তাঁদের নানা কীর্তি। সন্দেশখালি গ্রামপঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, মিষ্টি জলের পুকুরে নোনাজল ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, জমি নিয়ে নিয়েছে, লিজের জন্য টাকা তুলেও তা দেওয়া হয়নি উল্টে টাকাও গায়েব! সমস্ত অভিযোগ শিবু হাজরা আর উত্তম সর্দারের নামে। এলাকার লোকজন বলছেন, শিবু-উত্তমের পাপ ধুতে টাকা ছড়াচ্ছে তৃণমূল। বিরোধীরা বলছে ‘তোলা’র টাকা ফেরাচ্ছে তৃণমূল। সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকই রবিবার সন্দেশখালিতে দাঁড়িয়ে বলে এসেছেন, কেউ বঞ্চিত হবেন না। কেউ ঠকালে, দরকারে দলের ছেলেরা চাঁদা তুলে টাকা ফেরাবে।
তালিকা ধরে টাকা ফিরিয়ে রবিবার বাড়ি ফেরেন প্রধান বামাপদ রাউত। তিনি বলেন, “আজ ১০ জনকে টাকা দিলাম। উত্তম সর্দারের কাছ থেকে টাকা পেতেন তাঁরা। প্রত্যেকে সন্দেশখালিরই। কেউ ৫ হাজার, কেউ ৬ হাজার, কেউ ৮ হাজার টাকা পেয়েছেন। আজ পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু এসেছিলেন। আমাদের একটা টিম করে দিয়েছেন মন্ত্রীরা। ব্লকের সহ সভাপতি মহেশ্বরদা, উপপ্রধান গণেশ হালদার, অঞ্চল সভাপতি গৌর রায়, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার আর আমি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখব আর কারা টাকা পাবেন। আমরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে তালিকা তৈরি করে টাকা দিয়ে আসব।”
প্রশ্ন উঠছে, এতদিন এই পঞ্চায়েত নেতারা কিছুই কি জানতেন না? ইতিমধ্যেই উপপ্রধান গণেশ হালদারের নামে অভিযোগ তুলেছেন গ্রামের লোকেরা। পাট্টার জন্য টাকা নেওয়া, জবকার্ডের টাকার বদলে টাকা নেওয়া, কী অভিযোগ নেই? যদিও গণেশ তা মানতে চাননি।
Post A Comment:
0 comments so far,add yours