মহাভারত'-এ দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল রূপার কাছে এবং সেই চরিত্রটিই তাঁকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। ১৯৮৯ সালে রূপার ডাক পড়েছিল মুম্বইয়ে। কিন্তু সেখানে গিয়ে 'মহাভারত'-এর সেটে হাউ-হাউ করে কাঁদতে হয়েছিল রূপাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে নাকের জলে, চোখের জলে হতে হয়; দ্রৌপদীর চরিত্র করতে গিয়ে মুম্বইয়ে কী ঘটে সেদিন?
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।

১৯৮৮ সাল। দূরদর্শনের পর্দায় শুরু হয় বিআর চোপড়ার ‘মহাভারত’ সিরিয়ালের সম্প্রচার। মহাকাব্যের টেলিভিশন যাত্রায় এক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন বাঙালি অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। সকলেরই জানা, সেই ‘মহাভারত’-এ দ্রৌপদীর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল রূপার কাছে এবং সেই চরিত্রটিই তাঁকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। ১৯৮৯ সালে রূপার ডাক পড়েছিল মুম্বইয়ে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ‘মহাভারত’-এর সেটে হাউ-হাউ করে কাঁদতে হয়েছিল রূপাকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেমনটাই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।


AajTak-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন টেলিভিশনের পর্দায় তাঁর দ্রৌপদী হয়ে ওঠার কাহিনি। কলকাতায় কাজ করা শুরু করেছিলেন রূপা। তাঁকে চিনতে শুরু করেছিলেন আম বাঙালি। হঠাৎই জানা যায় জুহি চাওলা ‘মহাভারত’-এর দ্রৌপদীর চরিত্রটা করবেন না। বিআর চোপড়ার মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল তখন। খোঁজ শুরু হয়েছিল নতুন দ্রৌপদীর। কে করবেন সেই চরিত্র? ২০০জন অভিনেত্রীর অডিশন হয়েছিল। তাঁর আগেই কলকাতা থেকে দেবশ্রী রায় চলে গিয়েছিলেন মুম্বইয়ে। ‘মহাভারত’-এ সত্যবতীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল দেবশ্রীকে। হঠাৎই ডাক আসে রূপার কাছে। রূপা আকাশ থেকে পড়েছিলেন। টিকিট পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। বলা হয়েছিল, মুম্বইতে এসে অডিশন দিতে হবে।

সেই প্রথম অডিশন দেওয়া রূপার। বাড়ির কাউকে না নিয়ে একা মুম্বাই চলে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। হোটেলে ছিলেন রানীর মতো। সে সময় ‘মহাভারত’-এ শকুনির চরিত্রে অভিনয় করছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা গুফি পেন্টাল। তিনি এসে রূপার হাতে ধরিয়ে দিয়ে দেন দেড় পাতার চিত্রনাট্য। অডিশন দিতে যান রূপা। সেই অডিশনেই রূপাকে জোরে-জোরে কাঁদতে বলা হয়েছিল। সেটে দাঁড়িয়ে হাউ-হাউ করে কেঁদেছিলেন অভিনেত্রী। তারপরে জোরে-জোরে হাসতে বলা হয়েছিল। নির্দেশ মতো তাও করেছিলেন রূপা। এ সবের পর অভিনেত্রী ফিরে আসেন হোটেলে। যাওয়ার আগে একটাই কথা বলেছিলেন, তাড়াতাড়ি যেন জানান হয় তাঁকে, হাতে বেশি সময় নেই।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours