এক ব্যবসায়ী বলছেন, 'নগদ টাকা নিয়েও ফেরত দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে অত্যাচার করা হত।' মিষ্টির দোকানে বাকি ১৮ হাজার টাকা। আলু, পেঁয়াজ, কম্বল- পরপর দোকানে গেলেই শোনা যাবে ধার-বাকির হিসেব। তৃণমূল নেতাদের কীর্তি শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে।

রোল-চাউমিন থেকে দড়ি-পলিথিন- সন্দেশখালিতে সবই 'ধারের' খাতায়! নেতার কীর্তি চমকে দেওয়ার মতো
অভিযোগ জানাচ্ছেন গ্রামের ব্যবসায়ীরা

সন্দেশখালি: এলাকায় রয়েছে শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব। ধুমধাম করে হয় তাদের ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেই খেলা উপলক্ষে শিবু হাজরা, উত্তম সর্দাররা মূর্তি বানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। মূর্তি বানিয়েছিলেন মৃৎশিল্পী তাপস অধিকারী। একবার নয়, পরপর দু বছর মূর্তি বানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা? তাপস বাবু বলছেন, ‘২৫ হাজার টাকা বাকি আছে। এই করেই তো সংসার চলে। এতগুলো টাকা বাকি থাকলে কী করে হবে!’


এ তো গেল একজন মৃৎশিল্পীর কথা। একটি মুদির দোকানে গিয়ে ধার-বাকির যা হিসেব শোনা গেল, তা চমকে দেওয়ার মতো। খেলা উপলক্ষে তাঁদের দোকান থেকে কেনা হত পলিথিন, দড়ি, জাল। আবার বিভিন্ন সময় মিটিং হলে খাবারের প্যাকেটও যেত তাঁদের দোকান থেকে। সব মিলিয়ে তাঁরা হিসেব করে দেখেছেন ১ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা বাকি আছে নেতাদের কাছে।

রোল চাউমিন দোকানদার ক্যামেরা দেখেই মুখ লুকোচ্ছেন। তবে তাঁর দাবি, ২৮০০ টাকা পাবেন তিনি। শাড়ি ব্যবসায়ী তো রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ২০১৮ সালে শাড়ি কেনা হয়েছিল তাঁর দোকান থেকে সেই বিলও মজুত আছে। ১৩ হাজার টাকা শাড়ি কিনলেও এক পয়সা ঠেকাননি ওই তৃণমূল নেতারা! ব্যবসায়ী বলছেন, ‘নগদ টাকা নিয়েও ফেরত দেয়নি। টাকা চাইতে গেলে অত্যাচার করা হত।’ মিষ্টির দোকানে বাকি ১৮ হাজার টাকা।


আলু, পেঁয়াজ, কম্বল- পরপর দোকানে গেলেই শোনা যাবে ধার-বাকির হিসেব। তৃণমূল নেতাদের কীর্তি শুনলে চক্ষু চড়কগাছ হবে।

উল্লেখ্য, একের পর এক অভিযোগ সামনে আসার পর এলাকায় খোলা হয়েছে সরকারি ক্যাম্প। সেখানে অভিযোগের খাতা ভরে যাচ্ছে। বকেয়া টাকা ছাড়াও একাধিক অভিযোগ নিয়ে হাজির হচ্ছেন এলাকার মানুষ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours