এই নতুন নিয়মের অধীনে বিমাকারীরা নিখরচায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি হওয়ার জন্য বা চিকিৎসার জন্য কোনও টাকা জমা দিতে হবে না। যে দিন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, সেদিন বিমা সংস্থা যাবতীয় বিল মিটিয়ে দেবে। এতে দারুণ উপকৃত হবেন বিমাকারীরা।

 বড় খবর, আজ থেকে যে কোনও হাসপাতালে পাবেন Cashless-এ চিকিৎসা
প্রতীকী চিত্র

নয়া দিল্লি: বাজেট পেশের আগেই বড় খবর। চিকিৎসার ক্ষেত্রে বড় স্বস্তি পেল বিমাকারীরা। এবার থেকে যে কোনও হাসপাতালে পাওয়া যাবে ক্যাশলেস চিকিৎসার পরিষেবা (Cashless Treatment)। জেনারেল ইন্সুরেন্স কাউন্সিলের (General Insurance Council) তরফে বুধবারই ঘোষণা করা হয় যে এবার থেকে বিমাকারীরা যে কোনও হাসপাতালেই ক্যাশলেস চিকিৎসার সুবিধা পাবেন। সেই হাসপাতাল যদি বিমা সংস্থার তালিকাভুক্ত না হয়, সেক্ষেত্রেও এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে।


এই নতুন নিয়মের অধীনে বিমাকারীরা নিখরচায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারবেন। ভর্তি হওয়ার জন্য বা চিকিৎসার জন্য কোনও টাকা জমা দিতে হবে না। যে দিন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন, সেদিন বিমা সংস্থা যাবতীয় বিল মিটিয়ে দেবে। এতে দারুণ উপকৃত হবেন বিমাকারীরা। বর্তমানে কেবল বিমা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হাসপাতালগুলিতেই এই পরিষেবা পাওয়া যেত। যদি কোনও বিমাকারী চুক্তির বাইরে থাকা অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন তাকেই হাসপাতালের বিল মেটাতে হয়। পরে রিইমবার্সমেন্ট ক্লেমের মাধ্যমে বিমার টাকা পাওয়া যায়।

কীভাবে যেকোনও হাসপাতালে ‘ক্যাশলেস’ চিকিৎসা পাবেন?
এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য আপনাকে কেবল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে বিমা সংস্থাকে জানাতে হবে। ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিমা সংস্থাকে জানাতে হবে।


ক্যাশলেস চিকিৎসা কী?
ক্যাশলেস চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিমাকারীরা অগ্রিম কোনও টাকা জমা না দিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। হাসপাতালের বিল মেটায় সরাসরি বিমা সংস্থা। তবে এক্ষেত্রে কিছু সমস্যাও রয়েছে। বিমা ক্রয় করার সঙ্গে সঙ্গেই নিখরচায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সুবিধা পাওয়া যায় না। ন্যূনতম ৩০ দিন সময় লাগে। বিমাকারী সংস্থার উপরেও নির্ভর করে কতদিনে পরিষেবা পাওয়া যাবে।

ক্যাশলেস ক্লেম কি বাতিল হতে পারে?
যদি বিমাকারী সংস্থার শর্ত বা ক্রাইটেরিয়া পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তবে ইমার্জেন্সি বা পরিকল্পিতভাবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার ক্ষেত্রে ক্লেম বাতিল হতে পারে। যেমন একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিমা ক্লেম করা, হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার যথাযথ নথি জমা দিতে না পারলেও বিমার ক্লেম বাতিল হতে পারে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours