আপনাদের আমার উপর ভরসা আছে তো? যদি কেউ টাকা দিয়ে ভোট কেনে আপনারা দেবেন না তো? এই গুলো আপনাদের টাকা। যদি গরিব মানুষ একটা বিড়ি ছেড়ে দুটো বিড়ি খায় তাহলে তাঁকে অনেক কথা শুনতে হয়। আর বড় ডাকাত যারা কোটিপতি। ওদের কেউ কিছু বলে না।


জলপাইগুড়িতে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার আলিপুরদুয়ারের রকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকে তিনি কৃষক, বন্ধ হয়ে যাওয়া চা শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ান। চা বাগানের শ্রমিকদের পাট্টা বিলি হবে এখানেও।

সর্বশেষ তথ্য উপরে

আপানাদের বাইরে যেতে হবে না। এখানে কর্মসংস্থান হবে। পাহাড় আপনাদের গৌরব। আগে উত্তরবঙ্গে কিছু ছিল না। আজ উত্তরবঙ্গ বলতে পারে আমার কাছে সব আছে। আমি জলপাইগুড়িকে ভালবাসি।
মমতা: একশো দিনের কাজের ৭ হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে। এটা আমাদের অধিকার। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাব। কেন শ্রমিকরা টাকা পাবে না। কেন আবাস যোজনার টাকা কেন দেওয়া হবে না?
মমতা: উত্তরবঙ্গে ২৪ হাজার কোটি টাকা ইনভেস্ট হচ্ছে। কেউ যদি সেলুন, হোম স্টে, বানাতে চান ভবিষ্যত স্কিমে আবেদন করুন।
মমতা: আপনাদের আমার উপর ভরসা আছে তো? যদি কেউ টাকা দিয়ে ভোট কেনে আপনারা দেবেন না তো? এই গুলো আপনাদের টাকা। যদি গরিব মানুষ একটা বিড়ি ছেড়ে দুটো বিড়ি খায় তাহলে তাঁকে অনেক কথা শুনতে হয়। আর বড় ডাকাত যারা কোটিপতি। ওদের কেউ কিছু বলে না।
মমতা: কৃষক বন্ধুরা শিলিগুড়ি থেকে ১২ কোটি টাকা চেকে পাঠাবো। ভয় পাবেন না।
মমতা: সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীর অভিযোগ আমরা রিফি করছি। যারা পাচ্ছেন না তাঁদের দেওয়া হবে।
মমতা: আমি একা আসিনি। আমার সরকারকে তুলে এনেছি। কারণ ১৫ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার শুরু হবে। যাতে সকলে সব পরিষেবা পায় তাই এদের এনেছি। ফের সার্টিফিকেট হচ্ছ । ২৫০-র মধ্যে ৩৫ টা ফেক বেরিয়েছে। এরকম ফেক সার্টিফিকেটের খবর পেলে আমাদের জানান।
মমতা: এখানে একটা শীতলা মন্দির আছে । আমি কাল গিয়েছিলাম। মন্দির কমিটি চাইলে ওদের এক কোটি দিয়ে দেবেন যাতে গেস্ট হাউস করতে পারে। মা শীতলাকে আমি খুব ভালবাসি। উনি আমাদের রোগ থেকে বাঁচান।
মমতা: আগের বার ভোটের আগে বলেছিল পাঁচটা চাবাগান খুলে দেবে। এখন কোথায় গেল? অমি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সব করেছি।
মমতা: ভোটের আগে ফ্রি রেশন দেব বলেছিলাম। আমি দিচ্ছি। এখন মোদী বলছেন, আমরা ফ্রি রেশন দেব। ভোটের আগে এইসব বলছেন। জিতে গেলে আর দেবে না। হেরে গেলেও দেবে না।
মমতা: বন্ধ হওয়া ছটি চা বাগান সরকার নিয়ে নেবে। আর বন্ধ হওয়া চা বাগানের শ্রমিকদের দেড় হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এছাড়াও, ১৬৯৯ উদ্বাস্তু, রিফিউজি কলোনির পাট্টা দিচ্ছি। যে সকল শ্রমিকরা পাট্টা নিচ্ছেন তাঁদের সরকার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেবে।


মমতা: ২৬ হাজার মানুষকে আজ পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। ছ হাজার পাট্টা দেওয়া হচ্ছে।
মমতা: বানারহাট, ধূপগুড়িতে একটা দমকল কেন্দ্র করে দিতে বলব। আপনাদের এখানে দমকল অফিসের প্রয়োজন রয়েছে। আমি মুখ্যসচিবকে বলেছি দমকল কেন্দ্র করে দিতে। বানারহাটে একটা প্রাইমারি হেলথ সেন্টার আছে। এটা আমরা তিরিশ বেডের হাসপাতাল করে দিচ্ছি।
মমতা: রাজবংশীদের পড়াশোনার জন্য একাধিক স্কুল , কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। চতুর্থ মহানন্দা সেতু হয়েছে। দেবী চৌধুরানি মন্দির, জটিলেশ্বর, জল্পেস মন্দিরে অনুদান দেওয়া হয়েছে।
মমতা: ১১০ কোটি ৫০ লক্ষের মূল্যের প্রকল্প উদ্ধোধন হল। আপনাদের ধূপগুড়ি সাব ডিভিশন দিয়েছি। আমরা করে দিলেও কোর্টে পড়ে আছে। সাব ডিভিশন করতে গেলে কোর্ট অনুমতি দরকার পড়ে। আমি মুখ্যসচিবকে বলব কোর্ট থেকে তাড়াতাড়ি যাতে অনুমতি নেওয়া যায় তা দেখতে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours