প্রসঙ্গত, এর আগেই ভিতরে একটি বিশেষ ক্যামেরা পাঠানো হয়েছিল। সেই ক্যামেরার মধ্য দিয়েই আটকে থাকা শ্রমিকদের গতিবিধি বোঝা যাচ্ছিল। তাঁদের ছবি যেমন পাওয়া যাচ্ছিল, তেমনই টেলিফোনের লাইন পৌঁছে দিয়েছিল বিএসএনএল।

কেউ চেয়েছিলেন নেল কাটার, কেউ আবার লুডো-তাস, রোজই চলেছে রোল কল
যে সময় চলছিল উদ্ধারকাজ

উত্তরকাশী: যন্ত্র বিকলের পর ভরসা ছিল মানুষের হাতেই। প্রাচীনকাল থেকে যেভাবে মানুষ সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এসেছে সে কাজে এসেছিল সেই পদ্ধতিই। শুরু হয় র‌্যাট মাইনিং পদ্ধতিতে খনন কাজ। সূত্রের খবর, পাইপের মধ্যে শুয়ে শুয়ে দুই শ্রমিক ভিতরে পৌঁছান। একজন হাতে করে মাটি কাটতে শুরু করেন। অন্যজন সেই মাটি তুলে পাইপের ভিতর দিয়ে পাঠান। দড়ি দিয়ে বেঁধে সেই মাটি-পাথর ধীরে ধীরে বাইরে বের করা হয়। সোজা কথায়, অভিযানের একদম শেষে এই র‌্যাট মাইনার্সের হাত ধরেই শেষে এসেছে সাফল্য। তারপরই ভিতরে চূড়ান্ত উদ্ধারকাজের জন্য একেরপর এক পাইপ বসানো হয়। 


প্রসঙ্গত, এর আগেই ভিতরে একটি বিশেষ ক্য়ামেরা পাঠানো হয়েছিল। সেই ক্যামেরার মধ্য দিয়েই আটকে থাকা শ্রমিকদের গতিবিধি বোঝা যাচ্ছিল। তাঁদের ছবি যেমন পাওয়া যাচ্ছিল, তেমনই টেলিফোনের লাইন পৌঁছে দিয়েছিস বিএসএনএল। সেখান থেকেই তাঁরা কথাও বলতে পারছিলেন। প্রত্যেকদিনই পাঠানো হয়েছে খাবার। টেলি কমিউনিকেশন সিস্টেমের মাধ্য়মে রাখা হয়েছে যোগাযোগ। কার্যত রোল কলের মতোই করা হয়েছে রোল কল। আলাদা আলাদা করে প্রত্যেক শ্রমিকের নামও ডাকা হচ্ছিল। প্রত্যেকে সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন তা জানতেই করা হয়েছিল এই ব্যবস্থা। একইসঙ্গে বাইরে থেকেই করা হয়েছিল কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা। 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours