এ যেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে কেউ। যে ভয়ে টাকার দাবি মেটাতে বাধ্য হয়েছেন কেউ। আর তারপর, পুলিশ (Police) ফাঁদ পাতল। সেই ফাঁদে ধরা পড়ল অপরাধী। সিনেমার মতোই ঘটনা যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) পরিবারে।

Yuvraj Singh: মিথ্যে মামলার ভয়, টাকার দাবি, ফাঁদ পেতে যুবরাজের মাকে বাঁচাল পুলিশYuvraj Singh: মিথ্যে মামলার ভয়, টাকার দাবি, ফাঁদ পেতে যুবরাজের মাকে বাঁচাল পুলিশ

নয়াদিল্লি: এ যেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছে কেউ। যে ভয়ে টাকার দাবি মেটাতে বাধ্য হয়েছেন কেউ। আর তারপর, পুলিশ (Police) ফাঁদ পাতল। সেই ফাঁদে ধরা পড়ল অপরাধী। সিনেমার মতোই ঘটনা যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) পরিবারে। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের মা ও দাদা তোলাবাজির শিকার। দিনের পর দিন ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছে তাঁদের। যার জন্য বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন যুবি। এরপর যা হতে পারত তাই ঘটল। হঠাৎ কেন এমন ঘটনায় জড়িয়ে পড়ল যুবরাজ সিংয়ের পরিবার? বিস্তারিত জানতে পড়ুন এর এই প্রতিবেদন।


এই রোমহর্ষক ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালে। যুবরাজ সিংয়ের দাদা জোরাবার সিং দীর্ঘদিন মানসিক রোগের শিকার। তাঁর দেখভালের জন্য নার্স কিংবা পরিচারিকা রাখা হয়। বছর খানেক আগে হেমা কৌশিক নামে এক মহিলাকে জোরাবারের নার্স হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ওই মহিলার কাজে একেবারেই খুশি ছিলেন না শবনম সিং। দিন ২০ পড়ে হেমাকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। এই পর্যন্ত ব্যাপার ঠিকই ছিল। চাকরি খোয়ানোর কারণে কিনা তা প্রকাশ্যে না এলেও পরবর্তী সময়ে এই মহিলা যুবরাজ সিংয়ের পরিবারের গলার কাঁটা হয়ে ওঠে। গত কয়েক মাস এই হেমাই ফোন করে উত্যক্ত করতে শুরু করে শবনমকে। ফোন করে ভয় দেখানো শুরু করে।


গুরগাও পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, ওই মহিলা নাকি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ লিক করে দেওয়ার ভয় দেখাচ্ছিল। শুধু তাই নয়, যুবরাজ সিংয়ের পরিবারের মান সম্মান নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা দাবিও করে বসেছিল। এই সময় এন্ট্রি যুবরাজের। তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাতেই দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি হয়। ওই মহিলাকে কিস্তিবাবদ ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন শবনম। একটি জায়গায় যুবির মাকে ডেকে ওই টাকা নেওয়ার কথাও বলেছিল মহিলাটি। কিন্তু ওই মহিলার জানা ছিল না, পুলিশ তাকে ধরার জন্য জাল পেতে রেখেছে। আর তাতেই ধরা পড়ল পুলিশের হাতে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours