লক্ষ্মীমোহন রায়ের স্ত্রী মারা গিয়েছেন। দুই মেয়ে, এক ছেলে ও শাশুড়িকে নিয়ে ময়নাগুড়ির এই গ্রামে থাকেন। এর আগে ঝড়ে তাঁদের মাথার টিনের চাল উড়ে যায়, ঘর ভাঙে।

Moynaguri: অবশেষে ঘর পেলেন ময়নাগুড়ির লক্ষ্মীমোহন, চৌবাচ্চা বুজিয়ে চলছে কাজএভাবে চৌবাচ্চায় ঢুকে বসে থাকত পরিবার।
জলপাইগুড়ি: চৌবাচ্চা বুজিয়ে অবশেষে ঘর বানানো শুরু হল ময়নাগুড়ির (Moynaguri) লক্ষ্মীমোহন রায়ের। দুর্যোগে যাতে বড় বিপত্তি না হয়, ঘরের মাটিতে চৌবাচ্চা তৈরি করে তাতেই বসবাস করছিলেন ময়নাগুড়ি ব্লকের আমগুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের চাঁপগড় গ্রামের বাসিন্দা লক্ষ্মীমোহন ও তাঁর পরিবার। টিভিনাইন বাংলা প্রথম সেই খবর তুলে ধরে। এরপরই নড়েচড়ে বসে ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত। একে একে ঘর, শৌচাগার, বাড়িতে টিউবওয়েল বসানোর মতো একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।


শনিবার লক্ষ্মীমোহন রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, তাঁর নড়বড়ে ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। মাটি দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে সেই চৌবাচ্চা। শুরু হয়েছে নতুন ঘর বানানোর কাজ। স্থানীয় পঞ্চায়েতের দেওয়া পলিথিন খাটিয়ে পাশেই অস্থায়ীভাবে আপাতত থাকছেন রায় পরিবারের সদস্যরা।

লক্ষ্মীমোহন রায় বলেন, “দিদির সুরক্ষা কবচে জানানো এবং সংবাদ মাধ্যমে আমাদের পরিবারের খবর দেখানোর পর সবাই আমাকে সাহায্য করছে। আমার ঘর তৈরি শুরু হয়েছে।” গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান দিলীপ রায় বলেন, “লক্ষ্মীমোহন রায়ের পরিবারকে খাদ্যশস্য ছাড়াও কাপড় দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। তাঁর দুই মেয়ে ও এক ছেলের পড়াশোনার যেন কোনও অসুবিধা না হয় সেটাও দেখা হচ্ছে।”


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours