নিহতের বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী তিনজনে লাগাতার অত্যাচার করত। তিনদিন না খেতে দিয়ে বেধড়ক মারধরও করে তাঁদের মেয়েকে।



Tehatta: সিঁদুর পরাবে স্বামী, তারপর শেষকৃত্য; দেহ রেখে বিক্ষোভ শ্বশুরবাড়ির সামনেকফিনবন্দি দেহ।
নদিয়া: স্বামী চম্পট দিয়েছে ধোলাইয়ের ভয়ে। এদিকে মেয়ের বাড়ির লোকজনও ছাড়তে নারাজ। শেষবার সিঁথিতে স্বামী সিঁদুর পরাবে, তারপর দেহ দাহ করা হবে স্ত্রী। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে সিঁদুরের দাবিতে বিক্ষোভ চলল রাত পর্যন্ত। বধূর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি, নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রী মারা গেলে স্বামী তাকে শেষশয্য়ায় সিঁদুর পরায়, তারপর শেষকৃত্য হয়। এখানেও তার ব্যতীক্রম হবে না। নদিয়া (Nadia) তেহট্ট থানার মালিয়াপোতা গ্রামে রবিবারের এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। নিহতের ওই বধূর নাম অ্যানি মণ্ডল। অভিযোগ, গার্হস্থ্য হিংসার বলি হতে হয়েছে তাঁকে। প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অ্যানির। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অ্যানির উপর অকথ্য অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বেধড়ক মারধর করতেন স্বামীও। অভিযোগ, সে কারণেই এই অকালমৃত্যু।


নিহতের বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী তিনজনে লাগাতার অত্যাচার করত। তিনদিন না খেতে দিয়ে বেধড়ক মারধরও করে তাঁদের মেয়েকে। এরপর প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন একবার তাঁকে দেখতে পর্যন্ত যাননি। সেই বধূরই মৃত্যু হয় রবিবার। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিহতের বাপের বাড়ির লোকজন।



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours