শনিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার-সহ একটি দল নলহাটির কৃষ্ণপুরে বিভাসের বাড়িতে হানা দেয়।

Bibhas Adhikari: তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি বিভাস অধিকারীর জোড়া ঠিকানায় CBI অভিযানবিভাস অধিকারী।
বীরভূম: এবার বিভাস অধিকারীর (Bivash Adhikari) বাড়িতে সিবিআই। সূত্রের খবর, নববর্ষের সকালে বিভাসের বীরভূমের নলহাটির বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই। শনিবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার-সহ একটি দল নলহাটির কৃষ্ণপুরে বিভাসের বাড়িতে হানা দেয়। সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে বিভাসের আশ্রমেও যায় সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, বাড়িতেই রয়েছেন বিভাস। সিআরপিএফ নিয়ে চলছে তল্লাশি। বিভাস নলহাটি-২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি। শুধু নলহাটিতেই নয়, কলকাতার ঠিকানাতেও পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। শিয়ালদহের ডাক্তার কার্তিক বোস স্ট্রিট। সেখানে বিভাসের ফ্ল্যাট। সেই ফ্ল্যাটে সিবিআই তল্লাশি চলছে। সেখানেই বিভাসের বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের সিটি অফিস রয়েছে। বিভাসের আমহার্স্ট স্ট্রিটের ফ্ল্য়াট সিল করে দেয় সিবিআই।


তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এই বিভাস অধিকারীর। কাদের তিনি চাকরি দিয়েছেন, কত টাকায় রফা হয়েছে, কাদের মারফত চাকরি দিয়েছেন সবটাই জানতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে বিভাস নলহাটিতে যে আশ্রম চালান, সেই আশ্রমকে সামনে রেখে বেআইনি কারবার চালাতেন বলেও সিবিআই সূত্রে উঠে আসছে তথ্য়। বিভাসের দুই ছেলেও সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন বলেই সূত্রের দাবি।

এদিন সকালে আধা সেনা নিয়ে নলহাটির কৃষ্ণপুর গ্রামে যায় সিবিআই। প্রথমেই এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। তারপর শুরু হয় তথ্যতালাশ। বিভাস অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে যুক্ত তিনি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতির তিনি অন্যতম কাণ্ডারী বলেও সিবিআই ও ইডি সূত্রে তথ্য় উঠে এসেছে।


২০১৭ সালে একটি পথদুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন বিভাস। এরপর তাঁর ক্ষমতার হাতবদল হয় বলে সূত্রের খবর। কুন্তল ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের হাতে ক্ষমতা যেতে শুরু করে। ইডি-সিবিআই সূত্রে খবর, ২ হাজারের বেশি নিয়োগে হাত ছিল বিভাসের। এমনও তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আশ্রমে বসে গোটা র‍্যাকেট চালাতেন তিনি। শুধু তাই নয় বিএড, ডিএলএড কলেজের মাথায় বসে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছাত্র ভর্তি করতেন বলেও অভিযোগ। সেখানে টাকা ঢাললে তবে চাকরির ‘ওয়ারেন্টি’ পাওয়া যেত বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, ইনি সেই বিভাস অধিকারী, যাঁর নলহাটির বাড়িতে খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁর দুই ছেলের হাতে প্রহৃত হয়েছিলেন টিভি নাইন বাংলার সাংবাদিক সুজয় পাল এবং রজত শিকদার। পরে যদিও ছেলেদের হয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বিভাস। বলেছিলেন, “সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ ঠিক হয়নি। যদি আমাকে বলা হয় ক্ষমা চেয়ে নিতে। আমি ক্ষমা চেয়ে নেব। আমার ছেলেরা যদি মেরে থাকে তাহলে আমি ওদের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” তবে সিবিআইয়ের নজরে যে তিনি প্রথম থেকেই, শনিবার তাঁর বাড়ি, আশ্রমে সিবিআইয়ের অভিযান সে তত্ত্বই আরও জোরদার করছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours