বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওই আবাসনে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আবাসনের ৪০ নম্বর ব্লকের টাইপ ফোরের চারতলায় সমরবাবুর ফ্ল্যাটের ঘরের সামনে থেকেই তীব্র কটু গন্ধ বেরোতে থাকে। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের। তাঁরাই খবর দেন ব্যাঁটরা থানায়।

Howrah: স্বামী মারা গিয়েছেন ২ দিন আগে, পাশে থেকেও বুঝতে পারেননি স্ত্রীপ্রতীকী ছবি
হাওড়া: দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে আবাসন। আর তার উৎসের খোঁজ করতে গিয়েই হতবাক আবাসনের বাসিন্দারা। বৃদ্ধ স্বামীর পচাগলা দেহ (Deadbody Recovered) আগলে বসে রয়েছেন স্ত্রী। প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দরজা ভেঙে ওই বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পাশাপাশি মৃতের বৃদ্ধা স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হল হাসপাতালে। ঘটনাটি ব্যাঁটরা থানা এলাকার ডুমুরজলা (Dumurjala) এইচআইটি আবাসনের। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত বৃদ্ধের নাম সমর ভট্টাচার্য(৭৫)। তাঁর স্ত্রীর নাম রমা ভট্টাচার্য।


বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওই আবাসনে দুর্গন্ধ ছড়ায়। আবাসনের ৪০ নম্বর ব্লকের টাইপ ফোরের চারতলায় সমরবাবুর ফ্ল্যাটের ঘরের সামনে থেকেই তীব্র কটু গন্ধ বেরোতে থাকে। তাতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের। তাঁরাই খবর দেন ব্যাঁটরা থানায়। পুলিশ এসে ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙে। দেখে, ঘরের ভিতর মেঝেতে তক্তপোশের উপর মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন সমরবাবু। আর তাঁর পচাগলা দেহের পাশে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী রমাদেবী। দু’জনকেই উদ্ধার করে পুলিশ। সমরবাবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। তাঁর স্ত্রী রমাদেবীকে চিকিৎসার জন্য হাওড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দিন দুয়েক আগে মারা গিয়েছেন সমরবাবু। আর মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ তাঁর স্ত্রী স্বামীর মৃত্যুর খবরটি প্রতিবেশীদের জানাতে পারেননি। দেহ আগলে বসেছিলেন। তার উপর অতিরিক্ত গরমে সমরবাবুর দেহ একেবারে পচে গিয়েছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নিঃসন্তান এই দম্পতি ওই আবাসনে দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছেন। সমরবাবু ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। খুবই মিশুকে ছিলেন তিনি। তবে সমরবাবুর স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ।

অত্যন্ত মিশুকে স্বভাবের সমরবাবুকে গত কয়েকদিন ধরে ফ্ল্যাটের বাইরে দেখতে না পাওয়ায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। বুধবার তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোয় সেই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। অবশেষে পচাগলা দেহ উদ্ধার হয় সমরবাবুর। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours