ট্যাটুর জন্য এবার শ্রীঘরে গেলেন বাবা-মা। না, তবে ট্যাটু করাতে বাধা দেওয়ার জন্য নয়। নিজের ছোটো সন্তানের দেহে জোর করে ট্যাটু করলেন আমেরিকার ওই দম্পতি। তারপর সেই জায়গার মাংস খুবলে ট্যাটু মুছে ফেলারও চেষ্টাও করেন।

Tattoo: জোর করে দুই সন্তানের দেহে ট্যাটু! শ্রীঘরে বাবা-মাপ্রতীকী ছবি
নিউ ইয়র্ক: ট্যাটু (Tattoo) এখন বর্তমানে ফ্যাশন হয়ে উঠেছে। তবে অনেক বাবা-মায়েরা এখনও ট্যাটু করানোর কথা শুনলেই রে রে করে ওঠেন। এখনও তাঁরা হয়তো ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেননি। এই ট্যাটুর জন্য এবার শ্রীঘরে গেলেন বাবা-মা। না, তবে ট্যাটু করাতে বাধা দেওয়ার জন্য নয়। নিজের ছোটো সন্তানের দেহে জোর করে ট্যাটু করলেন আমেরিকার ওই দম্পতি। তারপর সেই জায়গার মাংস খুবলে ট্যাটু মুছে ফেলারও চেষ্টাও করেন। এই অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতারও করা হয়েছে বলে নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে।


২৭ বছর বয়সী মেগান মেই ফার ও ২৩ বছর বয়সী গুনের ফার। তাঁদের ৯ বছর ও ৫ বছরের দুই সন্তান রয়েছে। গুনের তাদের সৎ মা বলেই জানা যাচ্ছে। আর নিজেদের দুই সন্তানকে বেঁধে জোর করে তাদের গায়ে ট্যাটু করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের সৎ মা ও বাবার বিরুদ্ধে। একজনের পায়ে ও আরেকজনেক কাঁধের কাছে করা হয়েছে এই ট্যাটু। তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, শিশুদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। তাদের মুখ টেপ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তাদের চোখও।


এদিকে দম্পতির এহেন কাজের জন্য চাইল্ড প্রোটেকটিভ সার্ভিসেসে (CPS) অভিযোগ জমা পড়ে। তারপর নিজেদের দোষ ঢাকার জন্য উঠে পড়ে লাগে সেই দম্পতি। তাই এহেন অত্যাচারের চিহ্নই মুছে দিতে স চেয়েছিল। দুই শিশুর ট্যাটুর জায়গা ঘষে, কেটে, ছড়ে সেই ট্যাটু লোপাট করতে চেয়েছিল। লেবুর রসও কাজে লাগিয়েছিল তারা। তবে শেষরক্ষা হল না। শেষমেশ সোমবার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। জাভাল্লার অন্তর্বর্তীকালীন পুলিশ প্রধান লেফটেন্যান্ট জেমস ডেনবি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ট্যাটুর স্থানে শিশুটির শরীরে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং মনে হচ্ছে ট্যাটুর স্থানে দেহ থেকে মাংসও খুবলে নেওয়া হয়েছে।” এদিকে দুই শিশুকে যন্ত সহকারে সিপিএস-র তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। এখনও এই ঘটনায় তদন্ত চলছে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours