অন্যদিকে মন ভাল নেই শ্বশুর মনোরঞ্জন দাসেরও। চুঁচুড়া কারবালা মোড় এলাকার ওই বৃদ্ধ জানান, নিজেই পছন্দ করে অয়নকে বিয়ে করেছিলেন তাঁর মেয়ে।


শনিবার বিকালে প্রথম তাঁর সল্টলেকের অফিসে গিয়েছিল ইডি (ED)। চলেছিল রাতভর তল্লাশি। সেখানে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে একের পর এক কেউটে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও অয়ন শীলের (Ayan Sil) ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে তিন মহিলার নামেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। শুধু নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়, হাত পাকিয়েছিলেন সিনেমা-সিরিয়ালেও। আছে হোটেলের ব্যবসাও। ‘বড়’ হওয়ার নেশাই জামাইকে শেষ করে দিল বলে ইতিমধ্যেই আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তাঁর শ্বশুর মনোরঞ্জন দাস। শ্বশুরের মতোই একই কথা বলছেন অয়নের বাবা সদানন্দ শীল। নিয়োদ দুর্নীতিতে ছেলের গ্রেফতারির ঘটনায় মুষড়ে পড়েছেন তিনি। বয়স তাঁর ৮৪। কিন্তু, শক্ত হাতে মানুষ হওয়ার পাঠ দিয়ে যাচ্ছেন তাঁর ছাত্রদের। কিন্তু, শিক্ষিত অশীতিপর বৃদ্ধের ছেলেই কী করে এমন হল? 


এ প্রশ্নে বৃদ্ধ বলেন, “সব কিছু তো আর ফর্মুলা মেনে হয় না। অনেক ঘটনাই তো এমন ঘটে।” এদিকে অয়নকে গত শনিবার রাতে তাঁর ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে অয়নের বাবা সদানন্দ ও মা অমিতা দেবীকে বাইরে বেরোতে দেখা যায়নি। এদিন বিকালে হঠাৎই জগুদাসপাড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে দুটি ব্যাগ নিয়ে ছেলের ফ্ল্যাটে যান সদানন্দ বাবু। তখনই ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি আর কী বলব। আমার তো কিছুই বলার নেই। মনটা ভাল নেই। আর কিছু বলব না। ভাল লাগছে না।” 


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours