সম্প্রতি হইচই ফেলেছে 'ইন্দুবালা ভাতের হোটেল'-এ শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের লুক। তাঁকে দেখা যাচ্ছে এক বৃদ্ধার চরিত্রে।


বাংলা সিনেমায় এখন প্রস্থেটিক মেকআপ আলাদা চরিত্র হয়ে উঠেছে। ‘গুমনামি’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নেতাজি লুক, ‘অপরাজিত’ ছবিতে জিতু কমলের সত্যজিৎ রায় হয়ে ওঠা, সাম্প্রতিক ‘পদাতিক’ ছবিতে চঞ্চল চৌধুরীর মৃণাল সেনের লুক – সবই প্রস্থেটিকের কামাল। মহিলাদের মেকআপও কি পিছিয়ে আছে? ‘আগন্তুক’ ছবিতে সোহিনী সরকারের বৃদ্ধা সাজ। তারপর সামনেই মুক্তি পাচ্ছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্য়ায় অভিনীত ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’। এক বিধবা বৃদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করছেন শুভশ্রী। সেখানেও প্রস্থেটিক। কেবল তাই-ই নয়, সিরিয়ালেও উদাহরণ আছে। ইন্ডাস্ট্রিতে বয়স্কা অভিনেত্রীরা থাকতেও ‘করুণাময়ী রানী রাসমণি’ সিরিয়ালে বৃদ্ধা রাসমণির চরিত্রটি করেছিলেন স্কুল পড়ুয়া দিতিপ্রিয়া রায়। এবার বক্তব্য হল, বাংলা ছবির জগতে বয়স্ক অভিনেত্রীরা এ সব দেখে কী মনে করে? তাঁদের কী কোথাও গিয়ে মনে হয় কেন অল্পবয়সিদের জোর করে বৃদ্ধা কিংবা বয়স্কা সাজানো হয়? তাঁদের কেন সুযোগ দেওয়া হয় না? নাকি বিষয়টিকে তাঁরা বাহবাই দেন? এ ব্যাপারে কী বলেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় এবং মাধবী মুখোপাধ্যায়।


সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়: সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি আসলে এই ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করব না। কারণ, নির্মাতাদের ইচ্ছা হয়েছে, তাঁরা একজন অল্প বয়সি অভিনেত্রীকে এই সুযোগটি দিয়েছেন। সেখানে তো কারও কিছুই বলার নেই। ”




মাধবী মুখোপাধ্যায়: মাধবী মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “আমি এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছি না। একজন ইয়ং মেয়ে যদিও বৃদ্ধার পাঠ করেন, তিনি করবেন। তাতে ক্ষতির কী আছে। এটা তো শিল্পীরও চয়েজ়। ১৩ বছরের ছেলেও সত্তর বছরের বুড়োর চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন। তাতে আমি অন্তত বাহবাই দেব। ‘গুডবাই মিস্টার চিপস’ সেই কবে দেখেছিলাম আমি। সেখানেও তো এক অল্প বয়সি অভিনেতা বৃদ্ধর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আজও আমার মনে আছে প্রত্যেকটি দৃশ্য। সেই ছবি করার সময় অভিনেতা রবার্ট ডোনাটের বয়স তখন ২৬ কিংবা ২৭।”



Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours