আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে সোজা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরিয়েই জনসংযোগে জোর দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


পাখির চোখ’ ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। সোমবার একদিকে যখন জনসভা, পদযাত্রার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তখন অন্যদিকে রাস্তার দোকানে ঢুকে সিঙ্গারা ভেজে, পানের খিলি করে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতে দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা তাঁর জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।


এদিন দু-দিনের সফরে ত্রিপুরা গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নির্বাচনী প্রচারে তাঁদের এই সফর হলেও এদিন কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল না। আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে সোজা ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দিরে পুজো দিতে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মন্দির থেকে বেরিয়ে ফেরার পথেই আগরতলায় নিজস্ব ভঙ্গিতে জনসংযোগ শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

দার্জিলিঙে গিয়ে দোকানে ঢুকে মোমো বানাতে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে কচিকাঁচাদের ফুচকা করে খাওয়াতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে আগরতলায় রাস্তার পাশে একটি তেলেভাজার দোকানে ঢুকে সিঙ্গারা ভাজলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ত্রিপুরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও। তৃণমূল সুপ্রিমো কেবল সিঙ্গারা ভেজে থেমে থাকেননি, একেবারে নিজে উদ্যোগ নিয়ে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত দলীয় নেতা-কর্মীদের চা, সিঙ্গারা খাওয়ার বন্দোবস্তও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর একটি পানের দোকানে ঢুকে পানের খিলিও তৈরি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রতিবেশী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা জাতীয় রাজনৈতিক দলের প্রধানকে এই ভূমিকায় দেখে অভিভূত হয়ে যান আগরতলার বাসিন্দারা। তবে এটা তৃণমূল নেত্রীর জনসংযোগের অংশ মাত্র বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours