কৃষ্ণপদকে দেখতে শনিবার সকালেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে যান ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

গুলিবিদ্ধ ডিওয়াইএফআই (DYFI) নেতাকে শনিবার সার্জারি থেকে অর্থোপেডিকে রেফার করা হয়েছে। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কৃষ্ণপদ টুডু নামে ওই বাম যুব নেতা। তাঁর দেহে কোনও গুলি আটকে নেই। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, গুলির আঘাতে বাঁ হাতের কনুইয়ের হাড় ১০ টুকরো হয়ে গিয়েছে। বুকের পিছনের দিকে যে গুলি লেগেছিল, সেটিও শিরদাঁড়ার পাশ দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে। বাঁ হাতের কনুইয়ে লাগা গুলিও বেরিয়ে গিয়েছে। তবে গুলির আঘাতে হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো। কৃষ্ণপদকে সার্জারি থেকে অর্থোপেডিকে রেফার করা হয়েছে। পরবর্তী চিকিৎসা পদ্ধতি কী হবে সে বিষয়ে অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকেরাই সিদ্ধান্ত নেবেন। পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের ধাদকা অঞ্চলের মাকপালি গ্রামের ডিওয়াইএফ‌আই নেতা কৃষ্ণপদ। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।



কৃষ্ণপদকে দেখতে শনিবার সকালেই বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে যান ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আহত নেতার সঙ্গে দেখা করে তাঁর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার পর পরিবারের পাশে থাকার সবরকম আশ্বাসও দেন।

এদিনই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মীনাক্ষী বলেন, “শুক্রবারই অস্ত্রোপচার হয়েছে। ডাক্তারবাবুরা এখন চেকআপে রেখেছেন। কী বলছেন সেটা পরে জানা যাবে। রাজ্যটা এখন দুষ্কৃতীর স্বর্গরাজ্য হয়েছে। এখানে মানুষের কাজ থাকে না। কিন্তু কারও কারও পকেটে খুঁজলে একটা আধটা ছুরি, বন্দুক পাওয়া যাচ্ছে। কাদের কাছ থেকে পাওয়া যাচ্ছে সেটা আমরা বলছি না। মানুষ থাকবে নাকি গুন্ডারা থাকবে? পুলিশ কী করছে?”। মীনাক্ষীর দাবি, একজন বামনেতাকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে। কোনও গণতান্ত্রিক রাজ্যে এমনটা হয় না। তা যখন হচ্ছে তার দায়িত্ব পুলিশ ও সরকার প্রশাসনকে নিতে হবে।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours