এদিন হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে আসেন জাহাঙ্গির আলম। খবর পেয়েই তাঁর কাছে টাকার জন্য যান পুতুল নেশা পারভিন। তখনই ঘটে এ ঘটনা।

চাকরির (Jobs) প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে (Trinamool Leader)। টাকা চাইতে গেলে এক মহিলাকে ব্যাপক মারধর, গলা টিপে ধরার অভিযোগ উঠেছে। প্রকাশ্য রাস্তায় এ কাণ্ড দেখে পাল্টা তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দিল স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরে। সূত্রের খবর, হরিশ্চন্দ্রপুরের সংগঠন পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গাফফার পেশায় দর্জির কাজ করতেন। মারা গিয়েছেন কিছুদিন আগে। তাঁর স্ত্রী অঙ্গনওয়াড়িতে রান্না কাজ করেন। তাঁর দুই মেয়ে, পুতুল নেশা পারভিন এবং হাজেরা খাতুন। অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের আগে দুই বোনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকার তৃণমূল নেতা তথা জয়হিন্দ বাহিনীর জেলা সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম। 

সূত্রের খবর, এক বোনকে অঙ্গনওয়াড়ির সুপারভাইজার এবং অন্য বোনকে অঙ্গনওয়াড়ির শিক্ষিকার চাকরি করে দেবেন বলে প্রলোভন দেখিয়ে ছিলেন জাহাঙ্গির। বদলে দিতে হবে ১৬ লক্ষ টাকা। শাসকদলের উপর মহলে তাঁর ‘কানকেশন’ আছে বলেও জানান। কথা দেন টাকা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে। নেতার কথা শুনে চাকরির আশায় নিজেদের শেষ সম্বল জমিও বেচে এবং সঞ্চিত কিছু অর্থ থেকে ওই নেতাকে টাকা দিয়েছিলেন দুই বোন। কিন্তু চাকরি দূর অস্ত, দেড় বছরের বেশি সময় হয়ে গেলেও টাকা ফেরত পাননি তাঁরা। টাকা চাইতে গেলে বারবার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। 

এদিন হরিশচন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কাছে আসেন জাহাঙ্গির আলম। খবর পেয়েই তাঁর কাছে টাকার জন্য যান পুতুল নেশা পারভিন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁকে গলা টিপে ধরে পেটে লাথি মারেন ওই তৃণমূল নেতা। প্রকাশ্য দিবালোকে এক মহিলাকে মারধর করতে দেখায় ছুটে আসেন এলাকার বাসিন্দারা। পাল্টা ওই নেতাকে গণপ্রহার দেয় এলাকাবাসী। খবর যায় পুলিশে। পুলিশই আটক করে নিয়ে যায় জাহাঙ্গিরকে। আহত অবস্থায় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় পুতুল। সেখানেই চলে প্রাথমিক চিকিৎসা। ইতিমধ্যেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন পুতুল। সঙ্গে টাকা ফেরতের দাবিও করেছেন। একইসঙ্গে গায়ে হাত তোলার জন্য ওই নেতার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দুই বোন। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি তিনি কোনও টাকা নেননি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours