এর আগে ২০১৭ সালে ২ লক্ষের কিছু কম চাকরি প্রার্থী টেটে বসার জন্য আবেদন করেছিলেন। মাঝে ৫ বছর কোনও টেট পরীক্ষা হয়নি।


হাতে মাত্র আর কয়েকদিন। তারপরেই বাজবে পরীক্ষার ঘণ্টা। দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে আগামী ১১ ডিসেম্বর হতে চলেছে টেট পরীক্ষা (TET Exam)। ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে রেকর্ড সংখ্যক আবেদনপত্র। যা ছাপিয়ে গিয়েছে বিগত বছরগুলির রেকর্ড। এবার পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের জন্য জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করে দিল শিক্ষা দফতর। জেলা শাসকদের কাছে পাঠানো হয়েছে সেই নির্দেশিকা। তাতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করা হয়েছে কোনও প্রকার ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করা যাবে না। প্রতি পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে থাককে বায়োমেট্রিক সিস্টেম।

একইসঙ্গে প্রতিটা কেন্দ্রেই পুলিশি নিরাপত্তাও আঁটোসাঁটো থাকবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকবে সিক রুম। পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশের জেরক্সের দোকানগুলি ১০ টা থেকে ৩ টে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলেও এই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। কোনওরকম টোটাটুকির ঘটনা আটকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। একইসঙ্গে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তা আটকাতে বা সাহায্যের প্রয়োজনে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে থাকবে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুম। যোগাযোগ করা যাবে যে কোনও মুহূর্তে। প্রসঙ্গত, টেট নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে বিগত কয়েক মাস থেকে উত্তাল বাংলার-রাজ্য রাজনীতি। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যাওয়ায় জেলের ঘানি টানছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কারাবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে আরও একাধিক সরকারি আমলারও। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর পদ খুইয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। 



এই অবস্থায় ফের টেট পরীক্ষা নেওয়া কার্যত বড়সড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে। এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের। তবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই স্বচ্ছতার সঙ্গে টেট নিতে বদ্ধ পরিকর প্রাথনিক শিক্ষা পর্ষদের নতুন সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য। এদিকে অতীতে টেট-এর সময়ে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থার এত কড়াকড়ি ছিল না। শুধু বায়োমেট্রিকই নয়, পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরেও থাকবে সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা। ভুয়ো পরীক্ষার্থী, টোকাটুকি সহ যে কোনওরকম পরীক্ষা সংক্রান্ত অস্বচ্ছতা আটকাতেই পর্ষদের তরফে এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালে ২ লক্ষের কিছু কম চাকরি প্রার্থী টেটে বসার জন্য আবেদন করেছিলেন। মাঝে ৫ বছর কোনও টেট পরীক্ষা হয়নি। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, শূন্যপদের সংখ্য়া মাত্র ১১ হাজার ৭৬৫। সেই পদে চাকরির জন্যই লড়াই করবেন ৭ লক্ষ পরীক্ষার্থী।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours