দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ এর আগে বহুবার বাংলা দেখছে। বিভিন্ন ইস্যুতে নাম না করে বা নাম করেই একে অপরকে খোঁচা মারতে দেখা গিয়েছে।

ডেডলাইন কি ডিসেম্বর? বঙ্গ রাজনীতিতে কোনও ধামাকা? শীতের মাসেও তুঙ্গে সাসপেন্সের পারদ। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) তর্জন-গর্জনে অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত মিলছিল। তবে বিগত দু’দিন কাটলেও বঙ্গ রাজনীতিতে তেমনটা বড় পরিবর্তন কিছু চোখে পড়েনি বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে শুধু রাজনৈতিক মহল নয়, তারিখের এই বিষয়টি সেই অর্থে গুরুত্ব দিচ্ছেন না খোদ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “তারিখ পে তারিখ। আমি কোনও তারিখের রাজনীতি করি না। কারণ আমার মতে শুধু ভোটটা তারিখ মিলিয়ে হয়।”


উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর দ্বৈরথ এর আগে বহুবার বাংলা দেখছে। বিভিন্ন ইস্যুতে নাম না করে বা নাম করেই একে অপরকে খোঁচা মারতে দেখা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেও কলকাতায় হাজরার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দিলীপ ঘোষের মর্নিং ওয়াক প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমি মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে মিডিয়াকে বাইট দিয়ে বেড়াই না।” আর এর জবাবে এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি বললেন, “প্রত্যেকে নিজের মতো করে রাজনীতি করে। কথা বলে। স্টাইল আলাদা। মানুষ ঠিক করে দেয় এর মধ্যে কে ঠিক কে ভুল।”

প্রতিদিনের মতো বুধবারও প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে নাম না করে একাধিক ইস্যুতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা মারতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী আসানসোলের কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনারও প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় তাঁকে। বলেন, “দান খয়রাতি মানবতার অপমান। কিছু পাওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষকে টেনে আনা আমি সমর্থন করিনা। গরীবকে সাহায্য করার অন্য নানারকম উপায় আছে।”

প্রসঙ্গত, বুধবার আসানসোলে (Asansol) শিবচর্চা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে তিনি বক্তব্য রেখে চলে যেতেই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয়। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে। তাতে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মারা গিয়েছেন। সেই ঘটনার প্রক্ষিতে এদিন মন্তব্য করেন দিলীপ।


Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours