প্রধান শিক্ষক বলছেন, ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ করার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর উপর চাপ তৈরি করেছিল। যদিও কারও নাম সরাসরি উল্লেখ করতে চাননি তিনি।

বৃহস্পতিবার ১৮৩ জনের ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (School Service Commission)। সেই তালিকায় ১১ নম্বরে নাম রয়েছে আজাদ আলি মির্জার। বাংলার শিক্ষক ছিলেন আজাদ। মাসখানেক আগেই তিনি স্কুল ছেড়েছেন। বর্তমানে তিনি কোথায় রয়েছেন, সেই খোঁজ নেই। তাঁর মোবাইল নম্বরও সুইচড অফ। তবে তিনি যে স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছিলেন, সেই খরবা এইচ এন এগ্রিল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক দাবি করেছেন। প্রধান শিক্ষক বলছেন, ওই ব্যক্তিকে নিয়োগ করার জন্য কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর উপর চাপ তৈরি করেছিল। যদিও কারও নাম সরাসরি উল্লেখ করতে চাননি তিনি।

প্রধান শিক্ষক শেখ হোসেন আলি বলছেন, “এর আগে যখন এই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল, তারপর থেকে তিনি আর স্কুলে আসেননি। পরে তাঁর নিয়োগও বাতিল হয়ে যায়। কাল দেখলাম ১৮৩ জনের মধ্যে ওনার নামও আছে। আমি প্রথমে ওনাকে নিয়োগ করাতে চাইনি। কারণ, আমাদের কাছে কোনও চিঠি ছিল না। উনি হাতে হাতে চিঠি নিয়ে এসেছিলেন। পরে যখন মেইল মারফত চিঠি পাঠানো হয় আমাদের কাছে, তখন বাধ্য হয়েই জয়েন করিয়েছিলাম। তারপর বছরখানেক চাকরি করেছে, বেতনও পেয়েছে। তারপর যখন রিকমেন্ডেশন বাতিল হয়ে যায়, তার আগে থেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে জয়েন করার আগে, দুই চারজন আমাকে চাপ দিয়েছিল জয়েন করানোর জন্য। কিন্তু আমি বলেছিলাম, বৈধ কাগজ না থাকলে তো জয়েন করা যায় না।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours