বেহালায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলে গেলেন, "আমি ওখানে যাব। যে কটা লোক ওখানে প্রাণ নিয়ে আসতে পেরেছেন, তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দেব।"

বেহালার থেকে ইতিমধ্য়েই ডায়মন্ড হারবারের (Diamond Harbour) উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলে গেলেন, “আমি ওখানে যাব। যে কটা লোক ওখানে প্রাণ নিয়ে আসতে পেরেছেন, তাঁদের উদ্দেশে বার্তা দেব। পরবর্তী অ্যাকশন, ব্যবস্থা সবই হবে, ছাড়ার কোনও জায়গা নেই।” প্রসঙ্গত, ডায়মন্ড হারবারে গতরাতে শুভেন্দু অধিকারীর সভামঞ্চ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল। সভা বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে সুর চড়াচ্ছে বিজেপি। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে শুভেন্দু চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন, যাই হয়ে যাক, সভা হবেই। এদিনও সেই একই শরীরি ভাষা দেখা গেল শুভেন্দু অধিকারীর গলায়।

যে পথে বেহালা থেকে ডায়মন্ড হারবারের দিকে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী, সেই পথে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে এই একই দিনে কলকাতা থেকে কাঁথিতে সভা করতে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গে কারও নাম না করে শুভেন্দু বলেন, “আমিও চাইলে কোলাঘাট থেকে মারিশদা পর্যন্ত ২০ জায়গায় কাঠের গুড়ি ফেলে দিতে পারি। তিন সেকেন্ড লাগবে আমার। কিন্তু করব না।”

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে শুভেন্দুর সভাস্থলে হামলার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি শিবির। কেন গতরাতের এই হামলা? শাসক পক্ষ কি ভয় পাচ্ছে বলে মনে করছেন বিরোধী দলনেতা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের সটান জবাব, “ভয় না পেলে করবে কেন এমন? আধ ঘণ্টার বক্তৃতা করব। অন্যরাও বলবেন। একঘণ্টার সভা, চারটের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। শালীনতা বজায় রেখে রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ হবে। এটাই তো গণতন্ত্রের অঙ্গ।” ভূপতিনগরের বোমা বিস্ফোরণে চারজন মারা গিয়েছে বলেও এদিন বেহালা থেকে বেরোনোর সময় দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী।

পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের সভা ঠিকঠাকভাবে আয়োজিত হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা ওই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না।” শান্তিকুঞ্জের সামনের বাইক নিয়ে একদল লোক ঘোরাফেরা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সব ভিডিয়ো ক্যামেরায় তোলা হচ্ছে। হাইকোর্টে বলব। আমরা বিচারব্যবস্থার উপর গণতন্ত্রের উপর বিশ্বাস করি। কখনও এগুলি করতে নেই। চিরদিন কাহারও সময় নাহি যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চুলের মুঠো ধরে সিঙ্গুর থেকে তুলে নিয়ে এসেছিল। তাঁকেও কাঁদতে কাঁদতে গান্ধীমূর্তির নীচে বসতে হয়েছিল। তাঁর লোক আজ যা করছে, তাঁদের ক্ষেত্রেও এরকম দিন একদিন আসতে পারে। কিন্তু আমরা এসব চাই না।”


সবমিলিয়ে এদিন দুই শিবিরের দুই হেভিওয়েটের মেগা ইভেন্ট নিয়ে জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতির অন্দরমহলে। একদিকে শান্তিকুঞ্জের থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে সভা করতে যাচ্ছেন অভিষেক। আর অন্যদিকে অভিষেকের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে যাচ্ছেন অভিষেক। আর এই নিয়েই জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়েছে। এখন দেখার সভামঞ্চ থেকে কার বক্তৃতার ঝাঁঝ কতটা থাকে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours