পুলিশের কামড়ে আহত চাকরিপ্রার্থী। তা নিয়ে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। এ বার তাতে নয়া মাত্রা যোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, নবান্ন অভিযানের সময় ওই মহিলা পুলিশকর্মীকে তাঁকেও কামড়াতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা হতে দেননি। এ নিয়ে ট্যুইটারেও পাশাপাশি দুই ঘটনার দৃশ্য পোস্ট করেছেন তিনি। মুখ খুলেছেন সংবাদমাধ্যমেও। 

সংবাদমাধ্যমে শুভেন্দু বলেন, “এই লেডি কনস্টেবল উত্তরবঙ্গে ছিলেন। আকাশ মাঘারিয়ে তাঁকে নিয়ে মহিলা টিম গড়েছেন। এই টিমটার আমি নাম দিয়েছি মমতা পুলিশের হিংসাশ্রয়ী রেজিমেন্ট। এই রেজিমেন্টে আমি আগে একজন বলেছিলাম, মারিয়া বলে, তিনি আমার কাঁধে তিনটি ব্লো মেরেছিলেন নবান্ন অভিযানের দিন। সে দিন ডোন্ট টাড মাই বডি বলতে অনেক রকম ব্য়ঙ্ক তিরস্কার করেছেন ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানি। সেদিন তো এই দেবী তামাংকে পাঠিয়েছিলেন আমার হাত কামড়াতে। আমি হাত কামড়ানোর সুযোগ দিইনি। কারণ আমি বুঝতে পেরেছিলাম কী হচ্ছে।”

ট্যুইটারেও নবান্ন অভিযান এবং চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের দুই দৃশ্য পোস্ট করেন শুভেন্দু। তিনি লেখেন, "নবান্ন অভিযানের দিন মমতা পুলিশের নতুন হিংস্র ও নিষ্ঠুর রেজিমেন্টের প্রমীলা বাহিনীকে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা আজ বোঝা গেল।"
তবে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার শুভেন্দুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলার যে মহিলারা পুলিশবাহিনীতে কাজ করছেন, তাঁরাও নারী, মহিলা, বাংলা বাসী। অধিকাংশই গরিব ঘরের নেয়ে। তাঁদের শুভেন্দুর অধিকারীর মোত এত নোংরা ভাবে দেগে দেওয়া, খারাপ বলে চিহ্নিত কারও অধিকার নেই কারও। তাঁরাও কারও বাড়ির মা, বোন, মেয়ে।“

বুধবার টেট আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শহরের রাস্তায় খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় পুলিশের। সেখানে অরুণিমা পাল নামের এক চাকরিপ্রার্থীর হাতে কামড় বসাতে দেখা যায় পুলিশের এক মহিলা কর্মীকে। এই ঘটনাকে ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, যিনি কামড় খেলেন, তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া হল কেন? যিনি কামড়ালেন, ছবি দেখার পরও, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিতভাবে কোনও ব্যবস্থা নিল না কেন? সব মিলিয়ে কামড়কাণ্ড ঘিরে এখন তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours