চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি। তা সত্ত্বেও সম্ভব হয়নি সন্তানধারণ (Women Infertility)। তা নিয়ে লাগাতার উড়ে এসেছে কটাক্ষ। সরাসরি ‘বন্ধ্যা নারী’ বলে দেগে দিয়েছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই বিভীষিকা কাটিয়ে উঠতে চেয়েছিলেন। তাতেই চরম পদক্ষেপ করলেন উত্তরপ্রদেশের এক মহিলা (Uttar Pradesh News)।

শ্বশুরবাড়িতে গঞ্জনা এড়াতে চরম পদক্ষেপ মহিলার

উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়ার ঘটনা। বধপুরা থানা এলাকার উড়ি মোড়ের বাসিন্দা ওই মহিলা। কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল তাঁর। তাই বিয়ের পর ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সন্তানধারণ করতে পারেননি। নানা চেষ্টা-চরিত্র করেও মেলেনি সুফল। তার উপর বয়সও পৌঁছে যায় ৪০-এর কোঠায়। ফলে শ্বশুর বাড়িতে টেকা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই মহিলার। গঞ্জনা, কটাক্ষ এড়াতে তাই মিথ্যার আশ্রয় নেন তিনি। মাস ছয়েক আগে নিজেকে অন্তঃসত্ত্বা বলে বাড়ির লোকজনকে জানান। সেই মতো ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছেন বলে প্রায়শ বাড়ির বাইরেও যেতেন (Fake Pregnancy)। ফিরে এসে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্রও দেখাতেন তিনি।
কিন্তু অন্তঃসত্ত্বার অভিনয় করা ক্রমশই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। সমস্যা সমাধানের উপায়ও বার করেন। একটি ক্ষয়িষ্ণু প্লাস্টিকের পুতুলকে প্রিম্যাচিওর, অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের আগে প্রসব করা শিশু বলে বাড়ির লোকের সামেন তুলে ধরেন  

বিষয়টি ধরতে না পেরে ওই প্লাস্টিকের পুতুলটিকেই কাপড়ে জড়িয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে ছোটেন পরিবারের লোকজন। সেখানে চিকিৎসক জানান, সেটি মানবশিশু নয়, প্লাস্টিকের পুতুলমাত্র। বাড়ির লোকজন চিকিৎসার কাজপত্র দেখালে ওই চিকিৎসক জানান, প্রসূতি চিকিৎসার কাগজ নয় সেগুলি। এক্স রে থেকে চেকআপের যে রিপোর্ট রয়েছে, সেগুলি সবই পেটের সংক্রমণ সংক্রান্ত রোগের। 

ছয় মাস ধরে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিনয় করেন মহিলা

তাতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। নিত্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই ওই মহিলা এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে জানান ওই চিকিৎসক। তিনি জানান, দীর্ঘ দিন আগে বিয়ে হলেও, সন্তান হয়নি ওই মহিলার। তাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের কাছে অপমানিত হতে হতো রোজ। নানা ভাবে অপমান করা হতো তাঁকে। কথায় কথায় বন্ধ্যা নারী বলে তাঁকে খোঁটাও দেওয়া হতো। তা থেকে মুক্তি পেতেই এমন পদক্ষেপ করেন তিনি।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours