চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের (Arunima Pal) হাতে পুলিশের কামড় নিয়ে তোলপাড় রাজ্য (West Bengal)। এবার সরকারি হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনেও বলা হল, মানুষের কামড়েই ক্ষত হয়েছে অরুণিমার হাতে। আজ সকালে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College Hospital) হাতের ক্ষত পরীক্ষার জন্য আসেন অরুণিমা। তাঁর হাত পরীক্ষা করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্‍সক লেখেন, হিউম্যান বাইট, অর্থাত্‍, মানুষের কামড়ের চিহ্ন মিলেছে চাকরিপ্রার্থীর হাতে। অরুণিমাকে ঘটনার পর গ্রেফতার করা হলেও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।   

অরুণিমার হাতে কামড়ের চিহ্ন: চাকরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে, পুলিশের কামড় খেয়েছেন। তারপর আবার অরুণিমা পাল নামে ওই চাকরিপ্রার্থীকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারাও দেয় কিন্তু, যে পুলিশকর্মীকে ক্যামেরার সামনে কামড়াতে দেখা গেছে, এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বুধবার পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই আন্দোলনকারীও পুলিশকর্মীর হাতে কামড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু, বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীরা একটি নতুন ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কামড়ানোর আগেও, ওই চাকরিপ্রার্থীকে নিগ্রহ করেছিল পুলিশ। আন্দোলনকারীদের দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালকে ধরে রয়েছেন দু’জন। সেই অবস্থায় অরুণিমার দিকে তেড়ে যাচ্ছেন ওই মহিলা পুলিশকর্মী। তারপর তিনজনে মিলে তাঁর হাত ধরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। অরুণিমা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও, কার্যত হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে তাঁকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনজন এরপরই ছুটে গিয়ে চাকরিপ্রার্থী অরুণিমার হাতে কামড় বসান মহিলা পুলিশকর্মী। অরুণিমার হাতে যে মানুষের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে, তাতে কার্যত সিলমোহর দিলেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। 

বৃহস্পতিবার জামিন পেয়ে ফিরেছেন নিজের বাড়িতে। রাজ্য সরকার দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন পুলিশের কামড়ে আহত ২০১৪-র টেট চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পাল (Arunima Pal)। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। যা করতে গিয়ে, তিনি টেনে এনেছেন, ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযানের প্রসঙ্গ। সেদিন মহিলা পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেদিনের ছবি আর বুধবার চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশের কামড়ের ছবি পাশাপাশি দিয়ে, বিরোধী দলনেতা ট্যুইটারে লিখেছেন, “নবান্ন অভিযানের দিন মমতা পুলিশের নতুন হিংস্র ও নিষ্ঠুর রেজিমেন্টের প্রমীলা বাহিনীকে কোন অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল, তা আজ বোঝা গেল।’’ তাঁর আরও দাবি, “যে পুলিশকর্মী চাকরিপ্রার্থীকে কামড়েছেন, তাঁকে নবান্ন অভিযানের দিনও পাঠানো হয়েছিল।’’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours