রেল প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমিতে প্রচুর ধানের চাষ হয়েছে। যার ফলে কৃষি জমি থেকে ধান উঠলে তারপরই জমির মূল্য নির্ধারণের জন্য সমীক্ষা শুরু করবে জেলা প্রশাসন।

থমকে থাকা বালুরঘাট-হিলি (Balurghat-Hili Railway) রেলপ্রকল্পের দাবি জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের। এ নিয়ে সম্প্রতি রেল ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বৈঠক হতেই নতুন করে আশার আলো দেখছেন হিলি-সহ সমগ্র জেলার মানুষ। সূত্রের খবর, এই সমন্বয় বৈঠকে রেল প্রকল্পের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। হিলি রেল প্রকল্পের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হবে, তার মূল্য নির্ধারণের জন্য খুব তাড়াতাড়ি শুরু হবে সমীক্ষা।



জানা গিয়েছে, বর্তমানে রেল প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জমিতে প্রচুর ধানের চাষ হয়েছে। যার ফলে কৃষি জমি থেকে ধান উঠলে তারপরই জমির মূল্য নির্ধারণের জন্য সমীক্ষা শুরু করবে জেলা প্রশাসন। সেক্ষেত্রে ডিসেম্বর থেকে এই সমীক্ষার কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মোটামুটি মাস মাস দু’য়েক সে কাজ চলতে পারে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সমীক্ষার কাজ চলবে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, জমিদাতাদের সঠিক মূল্য পাইয়ে দেওয়াই জেলা প্রশাসনের মূল লক্ষ্য।

অনেকদিন ধরেই বালুরঘাট হিলি রেল প্রকল্প নিয়ে উদগ্রীব এখানকার মানুষ। ২০১০ সালে রেলমন্ত্রক বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়। বালুরঘাট থেকে ডাঙি হয়ে কামারপাড়া দিয়ে হিলি পর্যন্ত রেলপথের সম্প্রসারণের জন্য জমি চিহ্নিতকরণও সারা। মোট ৪১০ একর জমি। আত্রেয়ী নদী ও বেশ কয়েকটি ছোট জলাশয়ের মাঝে রেলব্রিজের পিলারও তৈরি করা হয়। তবে কাজ শুরুর বছরখানেকের মধ্যেই তা হোঁচট খায়। জমি অধিগ্রহণ করতে গিয়ে রেলকে সমস্যায় পড়তে হয়। সূত্রের খবর, সম্প্রতি এই প্রকল্প নিয়ে বালুরঘাটে বৈঠক করেন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা, অতিরিক্ত জেলাশাসক, জেলার কৃষি, সেচ, বনদফতর, ভূমি, পূর্ত, এনএইচ রোড-সহ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। ছিলেন রেলমন্ত্রকের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা।

এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলাপ্রশাসনের সমস্ত দফতর ও রেলমন্ত্রকের আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে একটি সমন্বয় বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে জমি অধিগ্রহণ নিয়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। রেলপথে জমি, সেতু নির্মাণ-সহ নানা কাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এদিকে এখন মাঠে ধান রয়েছে। তাই ধান উঠলেই ডিসেম্বর থেকে জমির মূল্য নির্ধারণের জন্য সমীক্ষা শুরু হবে। ফেব্রুয়ারির মধ্যে জমি অধিগ্রহণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে। জমিদাতারা যাতে জমির সঠিক মূল্য পায়, সেই বিষয়টিও জেলাপ্রশাসনের তরফে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours