কিছুক্ষণ পর থেকে বছর আড়াইয়ের নাতনির এক টানা কান্না শুনে স্থির থাকতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা।


বেলা অনেকটাই হয়েছে। কিন্তু তখনও দরজা জানালা বন্ধ, ছেলে-বউমা ঘুম থেকে ওঠেননি। কিছুক্ষণ পর থেকে বছর আড়াইয়ের নাতনির এক টানা কান্না শুনে স্থির থাকতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। জানালা সজোরে টেনে খুলতেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। বন্ধ ঘরে স্বামী স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার। চাঞ্চল্য উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার লালবাজার টেপাগাও এলাকায়। সোমবার সকালে নান্টু রায়(২৮) ও তার স্ত্রী সোমা রায়ের(২৩) মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।



পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে অনেকটা বেলা হয়ে গেলেও ছেলে বৌমা ঘুম থেকে না ওঠায়, তাঁদের ডাকাডাকি শুরু করেন বাড়ির সদস্যরা। তাতেও কোনও সাড়া মেলেনি,বরং তাদের দু’বছরের কন্যা সন্তানের কান্নার আওয়াজ শুনতে পান। তখন বাড়ির লোক ঘরের জানালা বাইরে থেকে খুলে দেখেন, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন নান্টু। বিছানায় পড়ে ছিল সোমার দেহ।

এরপরই থানায় খবর দেন পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে চোপড়া থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। তবে কী কারণে এমন ঘটনা, তা নিয়ে ধন্দে মৃতের পরিবারের সদস্যরা।

রবিবার রাতেও সব স্বাভাবিক ছিল বলেই তাঁদের দাবি। এমনকি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বা পরিবারের কারোর সঙ্গে কোনও বিবাদও ছিল না বলে জানাচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, স্ত্রীকে খুন করে নান্টু আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। তবে গৃহবধূর ঠাকুমার অবশ্য চাঞ্চল্যকর বক্তব্য। বৃদ্ধা জ্যোৎস্না হালদার বলেন, “বিয়ের পর থেকেই ওদের সংসারে অশান্তি। আমি দেখলাম নাতনির গলায় পিঠে, বুকে দাগ রয়েছে।” তবে ওদের সংসারে সেরকম কোনও অশান্তি ছিল না বলেই দাবি মৃতের ভাইয়ের। তিনি বলেন, “দাদার ঘরে সেরকম কোনও অশান্তি হত বলে তো জানা নেই।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours