অগ্নিমিত্রা পল বললেন, "তিনদিন ধরে বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়করা অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছেন, কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আপনাদের জানিয়েছেন। এটি আমরা কেন্দ্রকেও জানাব।"


বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) আমলে রাজভবন-নবান্ন দ্বন্দ্বের বাতাবরণ চরমে পৌঁছেছিল। তবে বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশনের (La Ganeshan) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক আপাতভাবে বেশ মসৃণ। সম্প্রতি কালীপুজোয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে গিয়েছিলেন লা গণেশন। আবার রাজ্যপালের আমন্ত্রণে চেন্নাইয়েও গিয়েছিলেন মমতা। এমন অবস্থায় বর্তমান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে খানিক ক্ষোভের সুর শোনা গেল বিজেপির গলায়। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, সময় পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ তুললেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)।


অগ্নিমিত্রা পল বললেন, “তিনদিন ধরে বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়করা অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছেন, কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই আপনাদের জানিয়েছেন। এটি আমরা কেন্দ্রকেও জানাব। আমি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলিনি, তাই আমি বিষয়টি বলতে পারব না। কিন্তু যেটা জানতে পারছি, তিনবার অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাওয়া হয়েছে। এই বিষয়টি আমরা আগে কখনও দেখিনি। জগদীপ ধনখড় যখন ছিলেন, তখন নিরপেক্ষভাবে সবাইকে সময় দিতেন। আমাদের সময় দিতেন, বিরোধী দলনেতা গেলেও সময় দিতেন, আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এলে, তাঁকেও সময় দিতেন। কিন্তু এনার দিক থেকে একটু রিলাকট্যান্ট দেখছি। কেন উনি এমন করছেন তা বলতে পারব না।”

তিনি আরও বলেন, “আমি শুনছিলাম, যে বিলগুলি আটকে রয়েছে, সেগুলি ছেড়ে দেওয়া হচ্ছিল। ওনাকে ভুল বোঝানো হচ্ছিল। এখানকার সচিব তাঁকে ভুল বোঝাচ্ছেন। এটা হতে দেব না।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “সেগুলি সব আটকে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রে অভিযোগ জানিয়ে সেগুলি আটকে দিয়েছেন। রাজ্যপাল বোধ হয় বাংলার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল ঠিকভাবে বুঝতে পারেননি। হয়ত রাজ্যপাল বিষয়টি জানেনও না, হয়ত সমস্ত কিছু এখানকার সচিব যিনি আছেন, তিনি চালনা করছেন।”

প্রসঙ্গত, অখিল গিরির বিতর্কিত মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে এদিন রাজভবনে ডেপুটেশন দিতে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পলরা। রাজভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “সংবিধানে রাজ্যপালের অধিকার রয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলুন। ইম্ফলে থাকুন, চেন্নাইয়ে থাকুন, দিল্লিতেই থাকুন… তিনি কীভাবে করবেন, মেইলের মাধ্যমে না হোয়াটসঅ্যাপে… তা আমরা জানি না। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলুন, যাতে তাঁর মন্ত্রিসভার রাষ্ট্রপতিকে বরখাস্ত করা হয়। আমরা রাজভবনে সচিবের সঙ্গে চা খেতে আসিনি।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours