তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, "প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত না জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রোটোকল ভাঙছেন। উনি (নরেন্দ্র মোদী) কি প্রধানমন্ত্রী নন? নাকি তেলঙ্গানা ভারতের অংশ নয়?"



ফের প্রকাশ্যে এল প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর দ্বৈরথ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)-কে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে ফের অস্বীকার করলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও (K Chandrashekhar Rao)। দুই দিনের জন্য দক্ষিণ ভারতের চার রাজ্য সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সকালেই তিনি হায়দরাবাদের বেগমপেট এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন। কিন্তু বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানাতে যাননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। এই নিয়ে কমপক্ষে তিনবার প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যেতে অস্বীকার করলেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।


বিজেপি বিরোধী অবস্থান বজায় রাখতেই এর আগেও একাধিকবার তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে বা অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে থাকতে অস্বীকার করেছিলেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। প্রত্যেকবারের মতো এবারও রাজ্যের মন্ত্রী তালাসানি শ্রীনিবাস যাদব প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে যান।

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণের তীব্র সমালোচনা করে বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত না জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রোটোকল ভাঙছেন। উনি (নরেন্দ্র মোদী) কি প্রধানমন্ত্রী নন? নাকি তেলঙ্গানা ভারতের অংশ নয়?”

সেকেন্দ্রাবাদের সাংসদ কিষাণ রেড্ডি বলেন, “এর মধ্যে রাজনীতি নিয়ে আসার কী আছে? এটা তেলঙ্গানার গর্ব ও সম্মানের বিষয় যে রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন”। বিজেপি নেতা রামচন্দর রাও বলেন, “শিশুসুলভ আচরণ করছেন কেসিআর। উনি এবং ওনার দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি হিংসা করছেন যে বিজেপি দক্ষিণী রাজ্যগুলিতেও জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। যখন এমকে স্ট্যালিন ও ওয়াইএস জগন্মোহন রেড্ডি বিজেপি বিরোধী দলের নেতা হয়েও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যেতে পারেন, তবে কেসিআর কেন যাবেন না?”

উল্লেখ্য, গতকাল সকালেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের রাজ্যপাল আরএন রবির সঙ্গে বিরোধিতা ও তাঁর অপসারণের দাবি জানালেও, মুখ্যমন্ত্রী স্ট্যালিনের পাশেই দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। অন্যদিকে, বিকেলে ভাইজ্যাগেও প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যান অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি।

বিগত কয়েক মাস ধরেই সপ্তমে চড়েছে বিজেপি-টিআরএস বিরোধ। একাধিক ইস্যু নিয়ে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে দুষেছেন তেলঙ্গানার মুখ্য়মন্ত্রী কেসিআর। সম্প্রতিই তিনি দাবি করেন, বিজেপি টিআরএস সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ১০০ কোটির ঘুষ দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে টিআরএস সাংসদদের। যদিও বিজেপির তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours