বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) কেরলে নয়া মোড় নিল রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। কেরল কলমন্ডলম ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে সরিয়ে দিল কেরল রাজ্য সরকার।


এ যেন কয়েকমাস আগের বাংলার রাজনৈতিক চিত্রের ফটোকপি। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) কেরলে নয়া মোড় নিল রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব। কেরল কলমন্ডলম ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের পদ থেকে কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানকে সরিয়ে দিল কেরল রাজ্য সরকার। বুধবারই জানা গিয়েছিল, রাজ্য়পাল আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে সরানোর জন্য অধ্যাদেশ আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিনারাই বিজয়ন সরকার। একদিনের মধ্যেই সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। কেরল রাজ্য সরকার জানিয়েছে, আরিফ মহম্মদ খানের বদলে শিল্প সংস্কৃতি জগতের কোনও বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ওই পদে নিযুক্ত করা হবে।



এদিন আরিফ মহম্মদ খানকে রাজ্যের ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে অপসারণের জন্য এলডিএফ সরকার প্রথমে ডিমড-টু-বি ইউনিভার্সিটির নিয়ম সংশোধন করে। তারপরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপালের বদলে এই পদে কাকে নিযুক্ত করা হবে, তা পৃষ্ঠপোষক সংস্থা ঠিক করবে। এই ক্ষেত্রে কেরল সরকারই পৃষ্ঠপোষক সংস্থা।

বস্তুত, গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিন প্রতিটি বিষয়ে, রাজ্যের শাসক জোট, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সঙ্গে বিরোধ বেধেছে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খানের। সাম্প্রতিক বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য নিয়োগ। গত ২৩ অক্টোবর কেরলের ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি দাবি করেছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেন তাদের নিয়োগ হয়নি। রাজ্যপালের এই আদেশকে কেরল হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। হাইকোর্ট উপাচার্যদের পদত্যাগের আদেশ স্থগিত রেখেছিল।

তবে, বুধবার (৯ নভেম্বর) কেরলে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছিল। মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পিনারাই বিজয়নের মন্ত্রিসভা এই অধ্যাদেশ জারির বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে। তবে সেই অধ্যাদেশে রাজ্যপাল স্বাক্ষর করলে, তবেই তা বাস্তবায়িত করা যাবে। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী আর বিন্দু আশা প্রকাশ করেছিলেন, রাজ্য সরকার এই অধ্যাদেশ আনলে নিজের দায়িত্ব মেনে সেই অধ্যাদেশে স্বাক্ষর করবেন রাজ্যপাল। অধ্যাদেশ আনার আগেই অবশ্য রাজ্যপালকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে ছেঁটে ফেলার কাজ শুরু করে দিল কেরলের বাম সরকার।
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours