জানা গিয়েছে, এক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের নতুক এলাকার বিবেক ভূঁইয়ার সঙ্গে মোনালিসা জয়ধরের বিয়ে হয়।

পশ্চিম মেদিনীপুর: সামাজিক মাধ্যম (Social Media) থেকে আলাপ পরিচয় হয় দু’জনের। তারপর জল গড়ায় প্রণয়ে। সেই থেকেই দু’জনের সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের। কলকাতার একটি আবাসনে বিয়েও করেন দু’জন। তবে এরপরই ঘটল কাণ্ড। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পাত্তা দিচ্ছে না স্বামী। সেই কারণে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন যুবতী।



কী ঘটেছে?

জানা গিয়েছে, এক বছর আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের নতুক এলাকার বিবেক ভূঁইয়ার সঙ্গে মোনালিসা জয়ধরের বিয়ে হয়। মোনালিসার বাপের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের পরিণতি হিসেবে এক বছর আগে দুজনের বিয়ে হয় কলকাতার একটি আবাসনে। এরপর দম্পতি দিল্লিতে থাকতে শুরু করেন।

মোনালিসার অভিযোগ, কয়েকদিন আগে দিল্লি থেকে বিবেক মোনালিসাকে ছেড়ে ঘাটালের নতুকে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে মোনালিসাও বিবেকের পিছু-পিছু পৌঁছে যান ঘাটালে। এরপর গতকাল ঘাটালে বিবেক ও তাঁর একবার দেখা হয় বলে দাবি মোনালিসার। অভিযোগ, তখন বিবেক মোনালিসার হাত থেকে তাঁর মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান।

এরপরই মঙ্গলবার দুপুর থেকে মোনালিসা বিবেকের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছেন। মোনালিসা চান যে বিবেকের বাবা-মা তাঁকে গৃহবধূ হিসাবে স্বীকৃতি দিক। এই দাবি নিয়ে সন্ধে পর্যন্ত ধর্নায় বসে আছেন মোনালিসা।

মোনালিসা বলেন, ‘বাড়ির অমতেই গিয়ে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের সময় সাক্ষী হিসেবে পুরোহিত ও ওর গাড়ির চালক ছিল। এরপর রেজিস্ট্রি হয়। তবে আমাকে তার কোনও ডকুমেন্ট দেখানো হয়নি। আমি অনেকবার চেয়েছিলাম। এরপর আমায় দিল্লি রেখে আসে। বলে যে বাড়ি যাচ্ছি। তারপর আমি অনেকবার ফোন করি। ও তখন বলে যে এই রিলেশন নিয়ে ভাবতে চাই। এরপর আমি ওর বাড়ি যাই। এখন আমি চাইছি ওর পরিবার আমায় মেনে নিক। সেই কারণে ধর্নায় বসেছি।’
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours