সাত সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (accident) উত্তর দিনাজপুরের (north dinajpur) চোপড়ায় (chopra)। উল্টে গেল পরিযায়ী-শ্রমিক (migrant laborer) বোঝাই একটি বাস। এক জনের মৃত্যু (dead) হয়েছে, জখম ১৬। ঘটনাটি ঘটে চোপড়া থানার কালাগছ উড়ালপুলের উপর। 

কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জেনেছে, কোচবিহার থেকে আসছিল বাসটি। অন্তত ২০ জন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন তাতে। বিহারের পূর্ণিয়ার দিকে একটি ইটভাটার কাজে যাচ্ছিলেন তাঁরা। শুক্রবার ভোররাতে কালাগছ এলাকায় উড়ালপুলের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। জখমদের উদ্ধার করে চোপড়ার দোলুয়া স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। তাঁদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে রেফার করেছেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছয় চোপড়া থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে। তথ্য বলছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের সড়ক দুর্ঘটনা একেবারে অপরিচিত নয়। 

প্রায়ই দুর্ঘটনা...
নভেম্বরের প্রথম দিনই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ৃবেলা ১১টা। চার চাকার একটি গাড়ি তখন সজোরে তমলুক থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল। আর উল্টো দিক থেকে আসছিল মোটরবাইক। হঠাৎ মুখোমুখি ধাক্কা লাগে দুটির। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাইকটিতে এক দম্পতি ছিলেন। সঙ্গে দুটি শিশুও ছিল। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের কন্যাগুরুকুলের কাছে ওই ঘটনায় গুরুতর আঘাত লাগে মহিলার। জখম অবস্থায় তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনার পর কয়েকটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথমত, একসঙ্গে এত জন মোটরবাইকে যাচ্ছিলেন কেন? গতিবেগ কতটা ছিল? ট্র্যাফিক আইন মানা হয়েছিল কি? এর সপ্তাহদুয়েক আগেই উলুবেড়িয়ার জগৎপুরে বেপরোয়া অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল মা-মেয়ের। সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সে বার মৃতদেহ আটকে রেখে, টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সটি। বিক্ষোভের জেরে বেশ কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, এলাকাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। তাই দ্রুত আন্ডারপাস করে দিতে হবে। এর কয়েক মাস আগে, গত জুলাইয়ে, উলুবেড়িয়াতেই বেপরোয়া বাইক চালাতে গিয়ে প্রাণ যায় দুজনের।উলুবেড়িয়ার রঘুদেবপুর অঞ্চলের বেলতলায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অটোর পিছনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইকের ধাক্কায় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুই বাইক আরোহীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উলবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, পর পর এত দুর্ঘটনা সত্ত্বেও আম নাগরিক ও প্রশাসন-দু-তরফই কি যথেষ্ট সচেতন হচ্ছেন?  
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours