সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের বক্তব্য, এরকম একটা অভিযোগ এসেছে। একদল পড়ুয়ার কাছ থেকে এসেছে আরেক দল পড়ুয়া টাকা তুলছে বলে।



সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের বক্তব্য, এরকম একটা অভিযোগ এসেছে। একদল পড়ুয়ার কাছ থেকে এসেছে আরেক দল পড়ুয়া টাকা তুলছে বলে।


সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College Hospital) তোলাবাজির অভিযোগ। এমবিবিএসে (MBBS) প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, তৃণমূল সমর্থিত চিকিৎসক পড়ুয়ারা এই ঘটনায় মদত দিচ্ছে। ঘটনার বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের কাছে স্বারকলিপি জমা দিয়েছে এআইডিএসও (AIDSO)। অধ্যক্ষর স্পষ্ট কথা, কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকলে আর তারা যদি কলেজের কেউ হয় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিভাবককে ডাকার পাশাপাশি প্রয়োজনে আরও কঠিন পদক্ষেপও করা হবে বলে জানান তিনি।

সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে প্রথম বর্ষের চিকিৎসক পড়ুয়াদের কাছে তিন হাজার টাকা করে তোলা চাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফর্ম ফিলআপের পর চিকিৎসক হতে চাওয়া ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

এ নিয়ে বুধবার দু’দল চিকিৎসক পড়ুয়াদের মধ্যে বচসা হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে এ‌আইডিএস‌ও’র সমর্থক চিকিৎসক পড়ুয়ারা অভিযোগ তোলেন, ক্যাম্পাসে তোলাবাজিতে মদত দিচ্ছে টিএমসিপি সমর্থিত চিকিৎসক পড়ুয়ারা। অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে কাউকে কোন‌ও রকম টাকা না দেওয়ার কথা মাইকে ঘোষণা করার পাশাপাশি পোস্টার সাঁটিয়ে জানানো সচেতন করা হয় বলে সূত্রের খবর।

সাগর দত্ত মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধানের বক্তব্য, এরকম একটা অভিযোগ এসেছে। একদল পড়ুয়ার কাছ থেকে এসেছে আরেক দল পড়ুয়া টাকা তুলছে বলে। ছাত্রছাত্রীদের কাছে টাকা তোলা বেআইনি। এই ঘটনায় কারা যুক্ত তা জানার জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘোষণাও করা হয়েছে। অধ্যক্ষ বলেন, “আমাদের চারদিকে পোস্টার দেওয়া হয়েছে রসিদ ছাড়া কোনও টাকা নেওয়ার প্রশ্নই নেই। তা রোগীর পরিচর্যা সংক্রান্ত হোক, ভর্তি হোক। কোনও সরকারি ক্ষেত্রে যথাযথ রসিদ ছাড়া কেউ টাকা দিতে পারে না।”

এআইডিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সদস্য চিকিৎসক কবিউল হক বলেন, “আমরা এআইডিএসওর পক্ষ থেকে এটাকে তোলাবাজিই বলছি। কারণ এই টাকা না দিলে প্রথমে ভর্তির ফর্ম দেওয়া হবে না বলে বলা হয়েছিল। পরবর্তীকালে চূড়ান্ত বচসা হয়। এরপরই আমাদের কর্মীরা অভিভাবকদের নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে ডেপুটেশন দেয়। এরপরই এসব এই টাকা তোলা বন্ধ হয়। কর্তৃপক্ষ পোস্টার লাগাতেও বাধ্য হয়, সরকারি রসিদ ছাড়া কেউ যেন কোনও টাকা কাউকে না দেন। যাঁরা টাকা নিচ্ছেন তাঁরা কেউ দ্বিতীয় বর্ষ, কেউ তৃতীয় বর্ষের তৃণমূল সমর্থিত। আমরা সকলকে বলব একজোট হয়ে এই তোলাবাজি রুখে দিন।”

কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, “স্বেচ্ছায় যদি কেউ মনে করে ৩ হাজার টাকা বা ২ হাজার টাকা বা কিছু কিনে দেবে তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। তবে কেউ যদি এটা জবরদস্তি করে চাদা হিসাবে নেয় এই ধরনের চাদার সিস্টেম আমাদের পার্টিতে নেই।”
Share To:

kakdwip.com

Post A Comment:

0 comments so far,add yours